
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

শাহবাগে এনসিপির জুলাই প্রদর্শনীতে ২ ককটেল বিস্ফোরণ

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

মৌলভীবাজারের চার সীমান্ত দিয়ে ৮৩ জনকে পুশইন

৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ ‘রাতের ভোটে’র মতোই

গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা: সদরদপ্তর

সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরের পিএস রাশেদ গ্রেপ্তার

টানা ৩ দিনের ছুটি, পাবেন না যারা
৮২ প্রকৌশলী নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন, রুল

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৮২ জন প্রকৌশলীর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্য ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে অভিযোগ মিলেছে। বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তির রিট মামলায় উচ্চ আদালত নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে জানতে রুল জারি করেছেন এবং ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। রুলে এলজিইডি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে একই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিজ্ঞপ্তির সূত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ছয় বছর পর
অর্থাৎ ২০১২ সালের মার্চে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়। দীর্ঘ সময় পর পরীক্ষা নিলেও পিএসসি অধিকতর প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কোনো পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। এতে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে হাজার হাজার প্রকৌশলী পাশ করে বের হলেও তারা ওই পদে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রকৌশলী বিভাগ থেকে পাশ করা একজন চাকরিপ্রত্যাশী আইনগত প্রতিকার চেয়ে চলতি বছর ৮ মে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন। রিট পিটিশনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট ৮২ জন প্রকৌশলীর নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন বাতিলে কারণ দর্শানোর রুল জারি করেন। ২৪ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১০
জুন, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট এবং ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে রিট পিটিশনারের লিখিত আবেদন আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির ৮২ জন প্রকৌশলী নিয়োগের পরীক্ষা ২০১২ সালে হয়। এর বিজ্ঞপ্তি ২০০৬ সালে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ ছয় বছর পর পিএসসি যখন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে, তখন ওই সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০ হাজার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিধারী পাশ করেন। তাদের সুকৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছে। অস্বচ্ছ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পিএসসির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কথাও চাউর রয়েছে। ওই বছর গোপনে
বাস্তবায়িত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে মাত্র তিনজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। অথচ পরীক্ষায় ১৫৪টি শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন ছিল ১ হাজার ৫১৮টি। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৫২ জন এবং ১৬২ জন উত্তীর্ণ হন। আর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১২৭ জনই কৃতকার্য হন। ওই সময় পিএসসি ৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি প্যানেল তৈরি করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পিএসসির সুপারিশ এবং সরকারের বিভিন্ন এজেন্ট অর্থাৎ পুলিশ ও এনএসআই ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে ৫২ জন প্রকৌশলী যোগদান করেন। অভিযোগ, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পিএসসি গঠিত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাড়ে তিন বছর পর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট ২৬
জন এবং একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্যানেলের সুপারিশপত্রে উল্লেখ রয়েছে-এক বছরের মধ্যে কোনো পদ শূন্য হলে প্যানেলভুক্তদের মধ্য থেকে শূন্যপদ পূরণ করা যাবে। এ অনিয়মে পিএসসি এবং এলজিইডি সিন্ডিকেটের যোগসাজশের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত। এ প্রসঙ্গে রিটকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, এলজিইডির ওই নিয়োগে তিনিও আবেদন করতে পারতেন যদি পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতো। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও পুনঃবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে গোপনে পরীক্ষা নেওয়ায় তিনিসহ অন্যরা অংশ নিতে পারেননি। তিনি জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিজ দলের লোক নিয়োগ দিতে অতি গোপনে পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। পিএসসির মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানও সেসময় ফ্যাসিস্টদের ইচ্ছামতো কাজ করেছে। সেসময়
বিচার বিভাগও ফ্যাসিস্টদের কথায় চলত। এজন্য সে সময় আদালতের আশ্রয়ও তিনি চাননি। এখন নতুন বাংলাদেশ, মানুষের প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ মিলেছে। এজন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার উদ্দেশ্য-অপকর্মকারীরা শাস্তি পাক। এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদীর বক্তব্য নিতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে এবং খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
অর্থাৎ ২০১২ সালের মার্চে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়। দীর্ঘ সময় পর পরীক্ষা নিলেও পিএসসি অধিকতর প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কোনো পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। এতে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে হাজার হাজার প্রকৌশলী পাশ করে বের হলেও তারা ওই পদে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রকৌশলী বিভাগ থেকে পাশ করা একজন চাকরিপ্রত্যাশী আইনগত প্রতিকার চেয়ে চলতি বছর ৮ মে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন। রিট পিটিশনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট ৮২ জন প্রকৌশলীর নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন বাতিলে কারণ দর্শানোর রুল জারি করেন। ২৪ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১০
জুন, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট এবং ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে রিট পিটিশনারের লিখিত আবেদন আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির ৮২ জন প্রকৌশলী নিয়োগের পরীক্ষা ২০১২ সালে হয়। এর বিজ্ঞপ্তি ২০০৬ সালে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ ছয় বছর পর পিএসসি যখন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে, তখন ওই সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০ হাজার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিধারী পাশ করেন। তাদের সুকৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছে। অস্বচ্ছ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পিএসসির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কথাও চাউর রয়েছে। ওই বছর গোপনে
বাস্তবায়িত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে মাত্র তিনজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। অথচ পরীক্ষায় ১৫৪টি শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন ছিল ১ হাজার ৫১৮টি। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৫২ জন এবং ১৬২ জন উত্তীর্ণ হন। আর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১২৭ জনই কৃতকার্য হন। ওই সময় পিএসসি ৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি প্যানেল তৈরি করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পিএসসির সুপারিশ এবং সরকারের বিভিন্ন এজেন্ট অর্থাৎ পুলিশ ও এনএসআই ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে ৫২ জন প্রকৌশলী যোগদান করেন। অভিযোগ, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পিএসসি গঠিত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাড়ে তিন বছর পর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট ২৬
জন এবং একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্যানেলের সুপারিশপত্রে উল্লেখ রয়েছে-এক বছরের মধ্যে কোনো পদ শূন্য হলে প্যানেলভুক্তদের মধ্য থেকে শূন্যপদ পূরণ করা যাবে। এ অনিয়মে পিএসসি এবং এলজিইডি সিন্ডিকেটের যোগসাজশের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত। এ প্রসঙ্গে রিটকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, এলজিইডির ওই নিয়োগে তিনিও আবেদন করতে পারতেন যদি পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতো। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও পুনঃবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে গোপনে পরীক্ষা নেওয়ায় তিনিসহ অন্যরা অংশ নিতে পারেননি। তিনি জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিজ দলের লোক নিয়োগ দিতে অতি গোপনে পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। পিএসসির মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানও সেসময় ফ্যাসিস্টদের ইচ্ছামতো কাজ করেছে। সেসময়
বিচার বিভাগও ফ্যাসিস্টদের কথায় চলত। এজন্য সে সময় আদালতের আশ্রয়ও তিনি চাননি। এখন নতুন বাংলাদেশ, মানুষের প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ মিলেছে। এজন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার উদ্দেশ্য-অপকর্মকারীরা শাস্তি পাক। এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদীর বক্তব্য নিতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে এবং খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।