
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে প্রাণ গেল প্রবাসীর

“বৃটেনের কার্ডিফ শাহ্ জালাল মসজিদ এন্ড ইসলামিক কালচারেল সেন্টারের নতুন কমিটি গঠন

ক্যালিফোর্নিয়ার গাঁজা খামারে অভিবাসন অভিযানে মৃত্যু ১, গ্রেপ্তার ২০০

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডধারীরা আইন লঙ্ঘন করলে বৈধতা বাতিল

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক, দেশে ফেরত

মালয়েশিয়ায় ১০ কার্যদিবসে প্রবাসীদের চাকরির অনুমোদন
২ সপ্তাহ ব্যবধানে বিমানবন্দর থেকে আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি জঙ্গি আটকের ঘটনায় ইউনূস সরকারের বিভ্রান্তিকর অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এবার ‘সন্দেহজনক’ কারণ দেখিয়ে গত ১১ই জুলাই ৯৬ জনকে ফেরত পাঠিয়েছিল মালয়েশিয়া। এবার ফেরত পাঠাল আরও ১২৩ জনকে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১১ই জুলাই মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি (ডিবিপিএ) ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এবার আরও ১২৩ জনকে ফেরত পাঠাল।
আজ শুক্রবার বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালে ডিবিপিএ’র অভিযানে তাদের আটকে দেওয়া হয়। আটকদের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, তারা ‘নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন’ বলে দেশে ফেরত
পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, আটক বাংলাদেশিদের অনেকের হোটেল বুকিং সন্দেহজনক, পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে ছিল না, কিংবা ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যথাযথভাবে উপস্থিত হননি। বিবৃতিতে বলা হয়, “কেউ যদি বলে সে এক মাস থাকতে এসেছে, কিন্তু সঙ্গে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত রয়েছে, তাহলে তার বক্তব্য সন্দেহজনক বলেই বিবেচিত হবে।” আজ ২৪শে জুলাই, শুক্রবার দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইল-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে টার্মিনাল ১- থেকে মোট ১২৮ জনকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশি, দুইজন পাকিস্তানি, দুইজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন সিরিয়ান রয়েছেন। টার্মিনাল ২-এ বাকি ৭০ জনের মধ্যে ৫১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১৩ জন ভারতীয়, ৪ জন পাকিস্তানি এবং দুইজন ভিয়েতনামি নাগরিক রয়েছেন। মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা
সংস্থার (একেপিএস) মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন বলেছেন, যাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের ‘নট টু ল্যান্ড’ পদ্ধতির অধীনে বহিষ্কার করা হবে, বিমান সংস্থাগুলো তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকবে। তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়াকে অবৈধ প্রবেশের ট্রানজিট হাব হতে বাধা দেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যে কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা, আর্থিক সামর্থ্য এবং থাকা-খাওয়ার নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ‘কারিগরি ঘাটতি’র আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে আরও বড় আশঙ্কা— বাংলাদেশিদের একটি অংশের জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে। যার প্রমাণ, দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখন
কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিমানবন্দরে উচ্চ মাত্রার নজরদারি চলছে। মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশি জঙ্গি জিআরএমবি: বাংলাদেশিদের আইএস সংশ্লিষ্টতা ও অর্থায়ন চক্র মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল প্রকাশ করেন, সম্প্রতি ‘গেরাকান মিলিটান র্যাডিক্যাল বাংলাদেশ’ (জিআরএমবি) নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর ৩৬ বাংলাদেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, তারা আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সিরিয়া ও বাংলাদেশে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়নের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল। গোষ্ঠীটি হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে সদস্য নিয়োগ করত এবং অনলাইনে উগ্রবাদী মতাদর্শ ছড়িয়ে দিত। সদস্যপদ পেতে হলে ৫০০ রিঙ্গিত বার্ষিক চাঁদা দিতে হতো, যা দাতব্য অনুদানের নামে তোলা হতো। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের মধ্য থেকেই এই গোষ্ঠীর
সদস্য সংগ্রহ করা হতো। ইউনূস সরকারের বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া ও দায় এড়ানোর প্রবণতা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় ৩৬ বাংলাদেশির গ্রেপ্তারের ঘটনায় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, এসব ব্যক্তি আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার (শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার) উৎখাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল। তিনি আরও জানান, এদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত চলছে এবং আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৬ই জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানান, “ফেরত পাঠানো তিনজনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই, তাদের শুধু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল।” তিনি আরও দাবি করেন, “বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই। গত ১০
মাসে কোনো জঙ্গি তৎপরতার অস্তিত্ব নেই।” তার এমন বক্তব্য স্বয়ং মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিবৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টার এমন অবিবেচক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইতিপূর্বে ফেরত পাঠানো ৯৬ বাংলাদেশির একাংশ গভীর উদ্বেগ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভাবমূর্তি ঝুঁকিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে এত বড় প্রশ্ন উঠে যাওয়া শুধু জঙ্গিবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, সম্পূর্ণ অভিবাসন কাঠামো ও জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকেও তা গভীর উদ্বেগের। ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির মধ্যে কারো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ছিল তা স্পষ্টভাবে জানানো না হলেও, মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান এবং
ধারাবাহিক অভিযানে এটি অনেকটাই নিশ্চিত যে, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও তথ্যনির্ভর প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যাখ্যা কিংবা দায় এড়ানোর ভাষ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ-সংক্রান্ত সন্দেহ দূর করা সম্ভব নয়। বরং এতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে, এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিবাসন নীতি ও নজরদারির মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশি কর্মীরা।
পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, আটক বাংলাদেশিদের অনেকের হোটেল বুকিং সন্দেহজনক, পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে ছিল না, কিংবা ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যথাযথভাবে উপস্থিত হননি। বিবৃতিতে বলা হয়, “কেউ যদি বলে সে এক মাস থাকতে এসেছে, কিন্তু সঙ্গে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত রয়েছে, তাহলে তার বক্তব্য সন্দেহজনক বলেই বিবেচিত হবে।” আজ ২৪শে জুলাই, শুক্রবার দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইল-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে টার্মিনাল ১- থেকে মোট ১২৮ জনকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশি, দুইজন পাকিস্তানি, দুইজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন সিরিয়ান রয়েছেন। টার্মিনাল ২-এ বাকি ৭০ জনের মধ্যে ৫১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১৩ জন ভারতীয়, ৪ জন পাকিস্তানি এবং দুইজন ভিয়েতনামি নাগরিক রয়েছেন। মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা
সংস্থার (একেপিএস) মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন বলেছেন, যাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের ‘নট টু ল্যান্ড’ পদ্ধতির অধীনে বহিষ্কার করা হবে, বিমান সংস্থাগুলো তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে থাকবে। তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়াকে অবৈধ প্রবেশের ট্রানজিট হাব হতে বাধা দেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যে কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা, আর্থিক সামর্থ্য এবং থাকা-খাওয়ার নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ‘কারিগরি ঘাটতি’র আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে আরও বড় আশঙ্কা— বাংলাদেশিদের একটি অংশের জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে। যার প্রমাণ, দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখন
কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিমানবন্দরে উচ্চ মাত্রার নজরদারি চলছে। মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশি জঙ্গি জিআরএমবি: বাংলাদেশিদের আইএস সংশ্লিষ্টতা ও অর্থায়ন চক্র মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল প্রকাশ করেন, সম্প্রতি ‘গেরাকান মিলিটান র্যাডিক্যাল বাংলাদেশ’ (জিআরএমবি) নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর ৩৬ বাংলাদেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, তারা আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সিরিয়া ও বাংলাদেশে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়নের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল। গোষ্ঠীটি হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে সদস্য নিয়োগ করত এবং অনলাইনে উগ্রবাদী মতাদর্শ ছড়িয়ে দিত। সদস্যপদ পেতে হলে ৫০০ রিঙ্গিত বার্ষিক চাঁদা দিতে হতো, যা দাতব্য অনুদানের নামে তোলা হতো। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শ্রমজীবী বাংলাদেশিদের মধ্য থেকেই এই গোষ্ঠীর
সদস্য সংগ্রহ করা হতো। ইউনূস সরকারের বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া ও দায় এড়ানোর প্রবণতা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় ৩৬ বাংলাদেশির গ্রেপ্তারের ঘটনায় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, এসব ব্যক্তি আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার (শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার) উৎখাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল। তিনি আরও জানান, এদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত চলছে এবং আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৬ই জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানান, “ফেরত পাঠানো তিনজনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই, তাদের শুধু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল।” তিনি আরও দাবি করেন, “বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই। গত ১০
মাসে কোনো জঙ্গি তৎপরতার অস্তিত্ব নেই।” তার এমন বক্তব্য স্বয়ং মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিবৃতির সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টার এমন অবিবেচক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইতিপূর্বে ফেরত পাঠানো ৯৬ বাংলাদেশির একাংশ গভীর উদ্বেগ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভাবমূর্তি ঝুঁকিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে এত বড় প্রশ্ন উঠে যাওয়া শুধু জঙ্গিবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, সম্পূর্ণ অভিবাসন কাঠামো ও জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকেও তা গভীর উদ্বেগের। ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির মধ্যে কারো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ছিল তা স্পষ্টভাবে জানানো না হলেও, মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান এবং
ধারাবাহিক অভিযানে এটি অনেকটাই নিশ্চিত যে, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও তথ্যনির্ভর প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যাখ্যা কিংবা দায় এড়ানোর ভাষ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ-সংক্রান্ত সন্দেহ দূর করা সম্ভব নয়। বরং এতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে, এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিবাসন নীতি ও নজরদারির মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশি কর্মীরা।