ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নিজেদের মধ্যে মারামারি করে আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা
শিশুদের পাঠ্যবই ডাউনলোড করে পড়তে বললেন ডিডি
রাবিতে পোষ্য কোটা বিতর্কে মুখোমুখি দু’পক্ষ
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয়
সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো অনিশ্চিত
নতুন বছরে মাদ্রাসায় ব্যাপক ছুটি, একটানাই থাকছে ৩৮ দিন
তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির ৩ শিক্ষার্থী
সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো অনিশ্চিত
আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ছাপানো হয়েছে মাত্র ৬ কোটির কিছু বেশি। ফলে বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ৭০ লটের বই ছাপা সম্পন্ন হলেও পুনঃটেন্ডারের কারণে বাকি ২৭ লটের বই এখনও প্রস্তুত হয়নি। এ তিন শ্রেণির বই পুরোপুরি সরবরাহ করতে জানুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে।
প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। অল্প কিছু বই ছাপানো হলেও বেশিরভাগ বই ছাপার কাজ
শুরুই হয়নি। সেক্ষেত্রে এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ-সপ্তমের কিছু বই ছাপানো হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতে কোনো বই পাবেন না। সব বই সরবরাহ করতে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী জানান, এবারের পাঠ্যবই সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে। ৬৫৫টি বই সংশোধন ও পরিমার্জন করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এছাড়া, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গল্প-গ্রাফিতি সংযোজন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার দেরি এবং প্রথমবারের মতো সোয়া ৪০ কোটির বেশি বই ছাপানোর প্রয়োজনীয়তা কাজের চাপ বাড়িয়েছে। “আমরা দিনরাত কাজ করছি। তবে বাস্তবতাগুলো মাথায়
রাখতে হবে। প্রথম থেকে পুরো প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে,” যোগ করেন অধ্যাপক রিয়াদ। বই সংকট নিয়ে উৎকণ্ঠিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, বছরের শুরুতেই নতুন বই না পেলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। কিছু বিদ্যালয়ে অল্পসংখ্যক বই পৌঁছানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এনসিটিবি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যে বই সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটি শুধু এনসিটিবি নয়, টেন্ডার প্রক্রিয়ার দেরি, ছাপাখানার অপ্রতুলতা, এবং লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের সম্মিলিত ফলাফল। নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই বই সংকট শিক্ষাব্যবস্থার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো বই সরবরাহ নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়া অবশ্যম্ভাবী। এই
সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া জরুরি।
শুরুই হয়নি। সেক্ষেত্রে এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ-সপ্তমের কিছু বই ছাপানো হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতে কোনো বই পাবেন না। সব বই সরবরাহ করতে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী জানান, এবারের পাঠ্যবই সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে। ৬৫৫টি বই সংশোধন ও পরিমার্জন করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এছাড়া, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গল্প-গ্রাফিতি সংযোজন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার দেরি এবং প্রথমবারের মতো সোয়া ৪০ কোটির বেশি বই ছাপানোর প্রয়োজনীয়তা কাজের চাপ বাড়িয়েছে। “আমরা দিনরাত কাজ করছি। তবে বাস্তবতাগুলো মাথায়
রাখতে হবে। প্রথম থেকে পুরো প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে,” যোগ করেন অধ্যাপক রিয়াদ। বই সংকট নিয়ে উৎকণ্ঠিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, বছরের শুরুতেই নতুন বই না পেলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। কিছু বিদ্যালয়ে অল্পসংখ্যক বই পৌঁছানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এনসিটিবি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যে বই সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এটি শুধু এনসিটিবি নয়, টেন্ডার প্রক্রিয়ার দেরি, ছাপাখানার অপ্রতুলতা, এবং লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের সম্মিলিত ফলাফল। নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই বই সংকট শিক্ষাব্যবস্থার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়মতো বই সরবরাহ নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় প্রভাব পড়া অবশ্যম্ভাবী। এই
সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া জরুরি।