
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইউক্রেনের নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্রে গুপ্তচরবৃত্তি, চীনা বাবা-ছেলে আটক

মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ডে পালিয়েছে ১০০ জান্তা সেনা

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিম জং উনের ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’

নেতানিয়াহুকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে: সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী

গাজায় ফুরিয়ে আসছে রক্ত!

মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ডে পালিয়েছে ১০০ জান্তা সেনা

গাজায় অন্তত সাড়ে ৬ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে
‘যুদ্ধকক্ষ থেকে নিজেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন খামেনি’

যুদ্ধকক্ষ থেকে ইরানের পাল্টা হামলার পুরো পরিকল্পনা ও পরিচালনার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরান-ইসরাইলের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ।
তিনি বলেছেন, খামেনির নির্দেশে পরিচালিত ‘সুনির্দিষ্ট ও ফলপ্রসূ’ হামলার কারণেই ইসরাইল ও ওয়াশিংটন মাত্র ১২ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে।
কালিবাফ বলেন, আমাদের নেতা (আয়াতুল্লাহ খামেনি) হত্যাকাণ্ডের তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেই নতুন কমান্ডার নিয়োগ দেন। তিনি তাদের ব্যক্তিগতভাবে তলব করেন, ব্রিফ করেন, নির্দেশনা দেন এবং সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেন।
কালিবাফ ব্যাখ্যা করে বলেন, আয়াতুল্লাহ খামেনি ঠিক সেই ভূমিকাই পালন করেছেন, যেমনটি তিনি ১৯৮০-এর দশকে করেছিলেন, যখন সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে
ইরাক দক্ষিণ ইরানে হামলা চালিয়েছিল। ইসরাইলের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি ইরানের জনগণকে বলেন, ইসরাইলকে তাদের অপরাধের জন্য ‘মূল্য দিতে হবে’ এবং এ জন্য তারা ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ হবে। যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট নিয়ে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার জানিয়েছেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসন বন্ধ হয়েছে মূলত তাদের ব্যর্থতার কারণে, কোনোরকম নমনীয় মনোভাবের কারণে নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্থল ও আকাশে ইরানের নিয়ন্ত্রণই ছিল ইসরাইলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। তার ভাষায়, ‘আমরা ইসরাইলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো অকার্যকর করে দিয়েছি। ’ ইরানের স্পিকার জানান, যুদ্ধের শেষদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্ভুলতার হার ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি, যার ফলে ইসরাইলের প্রধান
সামরিক ও বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলো অচল হয়ে পড়ে। কালিবাফ দাবি করেন, ইসরাইলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা সম্ভবত ৫০০-এর কম নয়। কিন্তু দেশটির সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা মাত্র ২৯। তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরোক্ষ কূটনৈতিক আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানান মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক আলোচনার মাঝপথে এ ধরনের আগ্রাসন বিশ্বাসঘাতকতা।’ গত ১৩ জুন ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরাইল। হামলার প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জেনারেল নিহত হন। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ইরান যেন সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালাতে না পারে, সে জন্যই জেনারেলদের ‘নিশানা করে’ হত্যা করা হয়েছে। তেহরান টাইমস জানায়, ইসরাইলের হামলার আগে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানকে আশ্বস্ত করেছিলেন, পরোক্ষ
পারমাণবিক আলোচনা যত দিন চলবে, তত দিন যুদ্ধের কোনো আশঙ্কা নেই। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে চলমান এই আলোচনার একটি পর্ব হামলার মাত্র কয়েক দিন আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে গত ২২ জুন ইরানে সরাসরি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন তারা ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। যুদ্ধের শুরুর দিনগুলোতেই এসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল।
ইরাক দক্ষিণ ইরানে হামলা চালিয়েছিল। ইসরাইলের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি ইরানের জনগণকে বলেন, ইসরাইলকে তাদের অপরাধের জন্য ‘মূল্য দিতে হবে’ এবং এ জন্য তারা ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ হবে। যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট নিয়ে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার জানিয়েছেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসন বন্ধ হয়েছে মূলত তাদের ব্যর্থতার কারণে, কোনোরকম নমনীয় মনোভাবের কারণে নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্থল ও আকাশে ইরানের নিয়ন্ত্রণই ছিল ইসরাইলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। তার ভাষায়, ‘আমরা ইসরাইলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো অকার্যকর করে দিয়েছি। ’ ইরানের স্পিকার জানান, যুদ্ধের শেষদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্ভুলতার হার ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি, যার ফলে ইসরাইলের প্রধান
সামরিক ও বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলো অচল হয়ে পড়ে। কালিবাফ দাবি করেন, ইসরাইলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা সম্ভবত ৫০০-এর কম নয়। কিন্তু দেশটির সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা মাত্র ২৯। তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরোক্ষ কূটনৈতিক আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানান মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক আলোচনার মাঝপথে এ ধরনের আগ্রাসন বিশ্বাসঘাতকতা।’ গত ১৩ জুন ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরাইল। হামলার প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জেনারেল নিহত হন। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ইরান যেন সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালাতে না পারে, সে জন্যই জেনারেলদের ‘নিশানা করে’ হত্যা করা হয়েছে। তেহরান টাইমস জানায়, ইসরাইলের হামলার আগে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানকে আশ্বস্ত করেছিলেন, পরোক্ষ
পারমাণবিক আলোচনা যত দিন চলবে, তত দিন যুদ্ধের কোনো আশঙ্কা নেই। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে চলমান এই আলোচনার একটি পর্ব হামলার মাত্র কয়েক দিন আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে গত ২২ জুন ইরানে সরাসরি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন তারা ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। যুদ্ধের শুরুর দিনগুলোতেই এসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল।