
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পরিবর্তন হলো দেশের ৪ মহাসড়ক ও ৮ সেতুর নাম

রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা

বিমান ঘাঁটিতে হামলার খবরটি ‘বিভ্রান্তিকর’, যা বলল বিমান বাহিনী

উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে পদযাত্রায় বাধা

আউটসোর্সিং কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান

এস আলম পরিবারের আরও ৮ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

বাধ্যতামূলক অবসরে এবার ৪ ডিআইজি
মোদী-ট্রাম্প সমীকরণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার পর বাংলাদেশে কী হতে যাচ্ছে? কেউ বলছেন, কিছুই হবে না। কেউ বলছেন ফিরবেন শেখ হাসিনা। কেউ আবার বলছেন, আর কিছু না হলেও ত্বরান্বিত হবে নির্বাচনের গতি। কিন্তু আসলেই কি কিছু হতে যাচ্ছে?
এবার ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার আগে শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বেই চলছে নানান হিসেব নিকেশ। ট্রাম্পের কারণে বাংলাদেশে কিছু হবে এই প্রচার চালাচ্ছে ভারতে ক্ষমতায় থাকা মোদী সরকার আর ভারতীয় মিডিয়া। ভাবটা এমন যেন নরেন্দ্র মোদী তার বন্ধু ট্রাম্পের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে বাংলাদেশের সব কিছু উল্টে দেবেন। ভারতীয় রাজনীতিবিদদের সাথে দ্বিমত পোষণ করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক, নিউ অর্লিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোস্তফা সরোয়ার।
তিনি
বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প উইল করে গেল, তাহলে কি হাসিনা মানে অশ্বারোহী? ঘোড়ায় চড়ে বাংলাদেশে ঢুকে উনি ক্ষমতা চলে যাবেন? আমার মনে হয় সে আশায় গুড়েবালি। এটা হচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মানে, যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি সেটায় মানে সে গায়ে পড়ে কিছু করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হবে নিজের লাভ। নিজস্ব লাভ মানে বাংলাদেশের সঙ্গে, যদি জোটে নিয়ে আসতে পারে বা কোনো নিরাপত্তা চুক্তি করতে পারে কিংবা ওখানে যাতে কোনো টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন না আসতে পারে, এই সমস্ত ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভাববে এবং সেই অনুপাতে যে গভর্মেন্ট থাকবে তাদের পলিসির উপরে তার সব কিছু নির্ভর করবে। এবং আমার ধারণা যে বাংলাদেশের নির্বাচন তাড়াতাড়ি
হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব দেরি হবে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর ইমতিয়াজ কিন্তু মনে করেন, ট্রাম্পের রাজনীতি আর বাইডেনের রাজনীতি আলাদা। আর তাই দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ প্রশ্নে দুজনের মতামত ও কাজের ধরন আলাদা হবে। ইমতিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা জিনিস আমার মনে হয় বলা যায়। সেটা হলো যে রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইবে বাংলাদেশে যেন নির্বাচন হয়, তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়। এই ব্যাপারে আমার মনে হয় এতটুক বলা যায়। এবং যেহেতু ভারতের সাথে বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদীর সাথে তার একটা ভালো সম্পর্ক করার একটা চেষ্টা থাকবে সেটা যদি হয়; ভারত অলরেডি ইতিমধ্যে খোলাখুলিভাবে বলেছে। কারণ যেহেতু তাদের আর্মি প্রধান স্পষ্টত
বলেছে যে, নির্বাচনের পরেই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ হবে, তাই যদি হয়ে থাকে, বোঝা যাচ্ছে যে ভারত নির্বাচনের ব্যাপারেও একই কথা বলছে। সেই জায়গায় আমার মনে হয় আমরা বলতে পারি যে, রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের দৃষ্টি যতটুকু থাকুক বাংলাদেশের উপর তার বড় একটা জিনিস থাকবে বাংলাদেশে যেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়। ইমতিয়াজ এর সাথে অনেকটাই একমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আরেক অধ্যাপক ডক্টর দেলোয়ার আরিফের। তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক বাইডেনের মতো উষ্ণ নয়। এই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ছাপ পড়তে পারে বাংলাদেশ আমেরিকা সম্পর্কেও। তার সাথে ট্রাম্পের উপর নরেন্দ্র মোদির প্রভাব রয়েছে, যার প্রতিফলনও দেখা যেতে
পারে বাংলাদেশে। অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে পলিসির একটু চেইঞ্জ হবে এবং নভেম্বরের তিন তারিখে উনি যে টুইটটা করেছিল টুইটটা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি। এখানে অনেক লবিস্ট কাজ করেছে যে ইন্ডিয়ান লবি এবং হচ্ছে তারা ওকে ব্রিফ করেছে। তুমি জানো যে সিআইএ সিআইএ হচ্ছে বিভিন্ন দেশে আমেরিকান ইন্টারেস্ট কে দেখে সিআইএ যে প্রধান অর্থাৎ ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি যেটা ওইটার যে প্রধান হবে, যিনি ওভার সি করবে সিআইএ, এফবিআই। কে বাট উনি হচ্ছে ইসকনের একটা বড় ভক্ত ইসকনের। আমরা জানি যে ইসকনের যে চিন্ময় প্রভু। উনি কারাগারে আছেন তো তাদের লবি তো কাজ করে। তুলসী এবার অলরেডি সেই ইনফর্ম। তো ডোনাল্ড
ট্রাম্প আসার পর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পলিসিতে অনেক অনেক চেইঞ্জ হবে। আমেরিকার যে দৃষ্টিপাত এবং হচ্ছে, যে একটা যে সুনজর, যেটা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের ছিল, এটা ডেফিনিটলি উঠে যাবে এবং আমলারা যে জিনিসটা বোঝাতে চাইবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওরকম করে কনভিন্স হওয়ার কথা না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এম শাহিদুজ্জামান মনে করেন, সম্পর্ক ভালো বা খারাপ সেটি বিষয় নয়। বরং ডক্টর ইউনূস থাকায় ট্রাম্পের লাভই হবে। শাহিদুজ্জামান বলেন, ট্রাম্প ইউনূস সাহেবকে আরও বেশি সমাদর করবে এজন্যে যে, ইউনূস ব্যক্তি নয় ইউনূস হচ্ছে পুঁজিবাদের সহনশীলতা ও পুঁজিবাদের মানবিক দিকটা তুলে ধরার সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান হচ্ছে
ইউনূস। ট্রাম্প একজন কট্টর পুঁজিবাদী। ট্রাম্প নিজেকে ওয়েলফেয়ার স্টেটের ধারণায় প্রজেক্ট করতে চায় এবং সে ইউনূসের মুখ থেকে শুনতে চাইবে যে, সে একজন দায়িত্বশীল মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশে কে ক্ষমতায় আসবে তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ। সে বিষয়ে খুব বেশি মতপার্থক্য নেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় এবং এই বিষয়ে একই সুরে কথা বলছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প উইল করে গেল, তাহলে কি হাসিনা মানে অশ্বারোহী? ঘোড়ায় চড়ে বাংলাদেশে ঢুকে উনি ক্ষমতা চলে যাবেন? আমার মনে হয় সে আশায় গুড়েবালি। এটা হচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মানে, যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি সেটায় মানে সে গায়ে পড়ে কিছু করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হবে নিজের লাভ। নিজস্ব লাভ মানে বাংলাদেশের সঙ্গে, যদি জোটে নিয়ে আসতে পারে বা কোনো নিরাপত্তা চুক্তি করতে পারে কিংবা ওখানে যাতে কোনো টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন না আসতে পারে, এই সমস্ত ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভাববে এবং সেই অনুপাতে যে গভর্মেন্ট থাকবে তাদের পলিসির উপরে তার সব কিছু নির্ভর করবে। এবং আমার ধারণা যে বাংলাদেশের নির্বাচন তাড়াতাড়ি
হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব দেরি হবে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর ইমতিয়াজ কিন্তু মনে করেন, ট্রাম্পের রাজনীতি আর বাইডেনের রাজনীতি আলাদা। আর তাই দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ প্রশ্নে দুজনের মতামত ও কাজের ধরন আলাদা হবে। ইমতিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা জিনিস আমার মনে হয় বলা যায়। সেটা হলো যে রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইবে বাংলাদেশে যেন নির্বাচন হয়, তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়। এই ব্যাপারে আমার মনে হয় এতটুক বলা যায়। এবং যেহেতু ভারতের সাথে বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদীর সাথে তার একটা ভালো সম্পর্ক করার একটা চেষ্টা থাকবে সেটা যদি হয়; ভারত অলরেডি ইতিমধ্যে খোলাখুলিভাবে বলেছে। কারণ যেহেতু তাদের আর্মি প্রধান স্পষ্টত
বলেছে যে, নির্বাচনের পরেই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ হবে, তাই যদি হয়ে থাকে, বোঝা যাচ্ছে যে ভারত নির্বাচনের ব্যাপারেও একই কথা বলছে। সেই জায়গায় আমার মনে হয় আমরা বলতে পারি যে, রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের দৃষ্টি যতটুকু থাকুক বাংলাদেশের উপর তার বড় একটা জিনিস থাকবে বাংলাদেশে যেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়। ইমতিয়াজ এর সাথে অনেকটাই একমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আরেক অধ্যাপক ডক্টর দেলোয়ার আরিফের। তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক বাইডেনের মতো উষ্ণ নয়। এই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ছাপ পড়তে পারে বাংলাদেশ আমেরিকা সম্পর্কেও। তার সাথে ট্রাম্পের উপর নরেন্দ্র মোদির প্রভাব রয়েছে, যার প্রতিফলনও দেখা যেতে
পারে বাংলাদেশে। অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে পলিসির একটু চেইঞ্জ হবে এবং নভেম্বরের তিন তারিখে উনি যে টুইটটা করেছিল টুইটটা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি। এখানে অনেক লবিস্ট কাজ করেছে যে ইন্ডিয়ান লবি এবং হচ্ছে তারা ওকে ব্রিফ করেছে। তুমি জানো যে সিআইএ সিআইএ হচ্ছে বিভিন্ন দেশে আমেরিকান ইন্টারেস্ট কে দেখে সিআইএ যে প্রধান অর্থাৎ ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি যেটা ওইটার যে প্রধান হবে, যিনি ওভার সি করবে সিআইএ, এফবিআই। কে বাট উনি হচ্ছে ইসকনের একটা বড় ভক্ত ইসকনের। আমরা জানি যে ইসকনের যে চিন্ময় প্রভু। উনি কারাগারে আছেন তো তাদের লবি তো কাজ করে। তুলসী এবার অলরেডি সেই ইনফর্ম। তো ডোনাল্ড
ট্রাম্প আসার পর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পলিসিতে অনেক অনেক চেইঞ্জ হবে। আমেরিকার যে দৃষ্টিপাত এবং হচ্ছে, যে একটা যে সুনজর, যেটা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের ছিল, এটা ডেফিনিটলি উঠে যাবে এবং আমলারা যে জিনিসটা বোঝাতে চাইবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওরকম করে কনভিন্স হওয়ার কথা না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এম শাহিদুজ্জামান মনে করেন, সম্পর্ক ভালো বা খারাপ সেটি বিষয় নয়। বরং ডক্টর ইউনূস থাকায় ট্রাম্পের লাভই হবে। শাহিদুজ্জামান বলেন, ট্রাম্প ইউনূস সাহেবকে আরও বেশি সমাদর করবে এজন্যে যে, ইউনূস ব্যক্তি নয় ইউনূস হচ্ছে পুঁজিবাদের সহনশীলতা ও পুঁজিবাদের মানবিক দিকটা তুলে ধরার সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান হচ্ছে
ইউনূস। ট্রাম্প একজন কট্টর পুঁজিবাদী। ট্রাম্প নিজেকে ওয়েলফেয়ার স্টেটের ধারণায় প্রজেক্ট করতে চায় এবং সে ইউনূসের মুখ থেকে শুনতে চাইবে যে, সে একজন দায়িত্বশীল মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশে কে ক্ষমতায় আসবে তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ। সে বিষয়ে খুব বেশি মতপার্থক্য নেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় এবং এই বিষয়ে একই সুরে কথা বলছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।