ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আরও খবর
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
‘পরীক্ষা দিতে এলে তোর লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না’
ঝুঁকির মধ্যেই ৩৭ জেলায় খোলা ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২ মে পর্যন্ত থাকছে ছুটি
সবকিছুতেই কেন আদালতের নিদের্শনা?–শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকছে না ‘ডাবল শিফট’
নির্যাতনে জড়িত তিন শিক্ষার্থী ইবির গণরুমে র্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে র্যাগিংয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। উভয় কমিটি তিনজন শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এর মধ্যে দুজনের নির্যাতনের মাত্রা ছিল বেশি। ফলে বিধি অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম নির্যাতনকারী এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করেছে কমিটি। ইতোমধ্যে উভয় কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পরবর্তী ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম সভাপতিত্ব করবেন।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর
র্যাগিং করা হয়। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে পর্নোগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এ ঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুজন হলেন-শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সবাই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ওই কক্ষে প্রায়ই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাৎকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছেন। প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, কাফি ও সাগরের সংশ্লিষ্টতা বেশি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে উজ্জলের সংশ্লিষ্টতা তুলনামূলক
কম পাওয়ায় সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্তরা কেউ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে হল কমিটি প্রশাসনের কাছে তাদের শাস্তির ব্যাপারে সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসন চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে। তারা প্রায় দুই মাস পর সোমবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে। লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, তিনজনের সরাসরি
জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের বাইরে হওয়ায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছি। প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।
র্যাগিং করা হয়। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে পর্নোগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এ ঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুজন হলেন-শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সবাই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ওই কক্ষে প্রায়ই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাৎকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছেন। প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, কাফি ও সাগরের সংশ্লিষ্টতা বেশি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে উজ্জলের সংশ্লিষ্টতা তুলনামূলক
কম পাওয়ায় সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্তরা কেউ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে হল কমিটি প্রশাসনের কাছে তাদের শাস্তির ব্যাপারে সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসন চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে। তারা প্রায় দুই মাস পর সোমবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে। লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, তিনজনের সরাসরি
জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের বাইরে হওয়ায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছি। প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।