নির্বাচনের আগে যেভাবে ‘কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে’ জড়ালো ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র – U.S. Bangla News




নির্বাচনের আগে যেভাবে ‘কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে’ জড়ালো ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ | ৯:২২
লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে বির্তকিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করে বিজেপি শাসিত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মতবিরোধ চলছিল। সেই আগুনে ঘি ঢালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার ইস্যু। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে দেশ দুটি। গ্রেফতার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে, ‘সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায়’ বিচারকাজ সম্পন্ন করতে গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। কিন্তু বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশটি। এমনকি দিল্লিতে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) ভারতে

নিযুক্ত মার্কিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করা হয়। ওয়াশিংটনের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ ও আপত্তি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। তবে নয়াদিল্লির এসব আপত্তি অগ্রাহ্য করে, বিষয়টি নিয়ে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। মার্কিন কূটনীতিককে তলব এবং ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কেজরিওয়াল ইস্যুতে ‘নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টিও তাদের নজরে আছে। এছাড়া কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে মিলার বলেন, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।

এতে আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের করা মন্তব্যের বিষয়ে দেশটির কূটনীতিকের কাছে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। মন্তব্যগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। আমাদের নির্বাচনী এবং আইনি প্রক্রিয়ার ওপর বহিরাগত যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ভারতে আইনের শাসনেই সব আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। এমন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ভারতীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলেও। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ।
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গরমে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা পিচ গলে ঝুঁকিতে সড়ক ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ মিথ্যা: হামাস নিউইয়র্কে বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে উপচে পড়া ভিড় যুক্তরাষ্ট্রকেই বিশ্বের নেতৃত্বে থাকতে হবে ২৬ এপ্রিল শুক্রবার নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত আঙিনায় চাষাবাদের প্রস্তুতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটিতে ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত এমটিএর বিনামূল্যের বাস পরিসেবা শেষ হচ্ছে চলতি বছরেই ব্যাংকের দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদ প্রকাশ করতে হবে রেকর্ড দাবদাহে ওষুধের মান নষ্টের শঙ্কা পঁচাত্তরেও তিনি ‘স্বপ্নচারিণী’ জীবনের শেষ বিসিএসটা দিতে পারলেন না ফাহাদ যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু সরকার নির্ধারিত দাম কাগজে কলমে স্বতন্ত্র এমপিদের তোপের মুখে নৌকার কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও অনুশাসন উপেক্ষিত জীর্ণ রেল সেতুতে পদে পদে বিপদ কাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ সিদ্ধান্ত প্রাথমিকের গরম ভোগাবে আরও ৫ দিন