ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শহিদ আলিফের পরিবারের জন্য কোটি টাকার তহবিল
জান্তাপ্রধানকে গ্রেফতারে পরোয়ানার আবেদন, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
বিচারে সরকারের উদ্যোগ নেই
শিশু বলাৎকারের জন্য কখনো ক্ষমা চায়নি ইসকন
স্বাধীন ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন
ইসকনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত নেতাদের পিটিয়ে হত্যা: ১৮ বছর পর হাসিনার নামে মামলা
নভেম্বরেই দরপত্রের খসড়া যাবে মন্ত্রণালয়ে
মাতারবাড়ীতেই হচ্ছে দেশের প্রথম স্থলভাগের এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। এজন্য দরপত্রের খসড়া নথি তৈরি করতে গতকাল মঙ্গলবার একটি কমিটি গঠন করেছে পেট্রোবাংলা। কমিটি দরপত্রের প্রাথমিক খসড়া ডকুমেন্টস তৈরি করে নভেম্বরের মধ্যে জ্বালানি বিভাগে পাঠাবে। পরে খসড়া চূড়ান্ত করে চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। টার্মিনালটির ক্ষমতা হবে ১০০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইনের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই আইনের অধীনে প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ এগিয়ে নেয় তৎকালীন সরকার; কিন্তু গত
আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইন স্থগিত করে। এই প্রেক্ষাপটে এই আইনের অধীনে নেওয়া বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়। বাতিল হওয়া প্রকল্পগুলো প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এখন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রকল্পটি আগে আমরা বিশেষ আইনে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখন সে আইন স্থগিত হওয়ার কারণে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। এজন্য মঙ্গলবার আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে দরপত্রের প্রাথমিক খসড়া ডকুমেন্টস মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে পারব। তিনি বলেন, এখন কাজ শুরু করলে ২০২৮ বা ২৯ সালে প্রকল্পটির কাজ
শেষ হবে। এজন্য আমরা নৌ-মন্ত্রণালয়কে বলেছি মাতারবাড়ী চ্যানেল খননের কাজ প্রথম দফায় করতে। কারণ এ চ্যানেল খননের কাজ আরও পরে করার কথা ছিল। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ সালের দিকে প্রথম স্থলভাগে টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশেষ আইনের অধীনে পেট্রোবাংলার তত্ত্বাবধানে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর জন্য ২০১৮ সালে আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়। আগ্রহী কোম্পানিগুলো থেকে ৮টি কোম্পানির সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এরপর প্রকল্পের কার্যক্রম থমকে যায়। পরে ২০২০ সালে পুনরায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গতি ফিরে পায়। ওই বছরের দুই ডিসেম্বর মাতারবাড়ীতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ সম্ভাবনা যাচাইয়ে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া
হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে। নেগোসিয়েটেড দর ৪৩ কোটি টাকায় পরামর্শকের কাজ পায় জাপানের টিজিইএস এবং নিপ্প কই। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে টার্মিনাল ডেভেলপমেন্ট সেকশন রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল (আরএফপি) মূল্যায়ন পর্যন্ত সব কাজ করবে এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নেও জাপানের এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। ২০২৩ সালের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা ৮ কোম্পানির সঙ্গে প্রি-বিড মিটিং করে আরপিজিসিএল। সেখানে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব দাখিলের সর্বশেষ ছিল ৮ আগস্ট। এ ছাড়া টার্মিনাল স্থাপনে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (সিপিজিসিবিএল) প্রস্তাবিত দুটি স্থান থেকে উপর্যুক্ত স্থান নির্ধারণে ৮ সদস্যের কমিটি করা
হয়। কমিটি সাইট পরিদর্শন করে গত ৯ জানুয়ারি জ্বালানি সচিবের কাছে প্রস্তাব জমা দেয়। সর্বশেষ গত ২১ মে জ্বালানি বিভাগে তৎকালালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিপিজিসিবিএলে অস্থায়ী অ্যাশপন্ডের জমি আরপিজিসিএলকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর চলতি বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তন হয়ে গেলে পুরো প্রকল্প পুনরায় নতুন করে শুরু করে পেট্রোবাংলা। ২০১৮ সাল থেকে দেশে এলএনজি আমদানি শুরু হয়। কাতার এবং ওমানের সঙ্গে ১৫ ও ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি দুটি চুক্তি আছে পেট্রোবাংলার। বছরে ৫৬টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে তারা। চুক্তি অনুসারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে আনুপাতিক হারে এ দাম নির্ধারিত হয়। পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ ২১ কোম্পানির মাধ্যমে চাহিদা
অনুসারে স্পট মার্কেট থেকে নিয়মিত এলএনজি কেনে সরকার। জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে সরকার আমদানি করা গ্যাসের ওপরই নির্ভর করছে। বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দেশীয় ও আমদানি মিলে সরবরাহ গড়ে ২৫০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বর্তমানে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে ৭০ কোটি ঘনফুট। ২০৩০ সালে গ্যাসের মোট চাহিদা বেড়ে ৫৬০ কোটি ঘনফুট হতে পারে। ফলে নতুন বড় ধরনের মজুত আবিষ্কৃত না হলে দেশীয় গ্যাসের সরবরাহ কমে ১০০ কোটি ঘনফুটের নিচে নামতে পারে। বাড়তি চাহিদা পূরণে এলএনজির আমদানি বাড়াতেই হবে। এ চিন্তা থেকে সরকার আরও এলএনজি টার্মিনাল করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। আমদানি করা এলএনজি তরল আকারে জাহাজে করে আনা হয়। এরপর তা
গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহ করতে হয় পাইপলাইনে। এর জন্য দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে মহেশখালীতে। এর একটি পরিচালনা করেছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি ও আরেকটি দেশীয় সামিট গ্রুপ। এ দুই টার্মিনাল দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ গ্যাস সরবরাহ সক্ষমতা ১০০ কোটি ঘনফুট।
আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইন স্থগিত করে। এই প্রেক্ষাপটে এই আইনের অধীনে নেওয়া বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়। বাতিল হওয়া প্রকল্পগুলো প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এখন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রকল্পটি আগে আমরা বিশেষ আইনে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখন সে আইন স্থগিত হওয়ার কারণে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। এজন্য মঙ্গলবার আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে দরপত্রের প্রাথমিক খসড়া ডকুমেন্টস মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে পারব। তিনি বলেন, এখন কাজ শুরু করলে ২০২৮ বা ২৯ সালে প্রকল্পটির কাজ
শেষ হবে। এজন্য আমরা নৌ-মন্ত্রণালয়কে বলেছি মাতারবাড়ী চ্যানেল খননের কাজ প্রথম দফায় করতে। কারণ এ চ্যানেল খননের কাজ আরও পরে করার কথা ছিল। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ সালের দিকে প্রথম স্থলভাগে টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশেষ আইনের অধীনে পেট্রোবাংলার তত্ত্বাবধানে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর জন্য ২০১৮ সালে আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়। আগ্রহী কোম্পানিগুলো থেকে ৮টি কোম্পানির সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এরপর প্রকল্পের কার্যক্রম থমকে যায়। পরে ২০২০ সালে পুনরায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গতি ফিরে পায়। ওই বছরের দুই ডিসেম্বর মাতারবাড়ীতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ সম্ভাবনা যাচাইয়ে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া
হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে। নেগোসিয়েটেড দর ৪৩ কোটি টাকায় পরামর্শকের কাজ পায় জাপানের টিজিইএস এবং নিপ্প কই। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে টার্মিনাল ডেভেলপমেন্ট সেকশন রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল (আরএফপি) মূল্যায়ন পর্যন্ত সব কাজ করবে এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নেও জাপানের এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। ২০২৩ সালের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা ৮ কোম্পানির সঙ্গে প্রি-বিড মিটিং করে আরপিজিসিএল। সেখানে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব দাখিলের সর্বশেষ ছিল ৮ আগস্ট। এ ছাড়া টার্মিনাল স্থাপনে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (সিপিজিসিবিএল) প্রস্তাবিত দুটি স্থান থেকে উপর্যুক্ত স্থান নির্ধারণে ৮ সদস্যের কমিটি করা
হয়। কমিটি সাইট পরিদর্শন করে গত ৯ জানুয়ারি জ্বালানি সচিবের কাছে প্রস্তাব জমা দেয়। সর্বশেষ গত ২১ মে জ্বালানি বিভাগে তৎকালালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিপিজিসিবিএলে অস্থায়ী অ্যাশপন্ডের জমি আরপিজিসিএলকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর চলতি বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তন হয়ে গেলে পুরো প্রকল্প পুনরায় নতুন করে শুরু করে পেট্রোবাংলা। ২০১৮ সাল থেকে দেশে এলএনজি আমদানি শুরু হয়। কাতার এবং ওমানের সঙ্গে ১৫ ও ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি দুটি চুক্তি আছে পেট্রোবাংলার। বছরে ৫৬টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে তারা। চুক্তি অনুসারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে আনুপাতিক হারে এ দাম নির্ধারিত হয়। পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ ২১ কোম্পানির মাধ্যমে চাহিদা
অনুসারে স্পট মার্কেট থেকে নিয়মিত এলএনজি কেনে সরকার। জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে সরকার আমদানি করা গ্যাসের ওপরই নির্ভর করছে। বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দেশীয় ও আমদানি মিলে সরবরাহ গড়ে ২৫০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বর্তমানে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে ৭০ কোটি ঘনফুট। ২০৩০ সালে গ্যাসের মোট চাহিদা বেড়ে ৫৬০ কোটি ঘনফুট হতে পারে। ফলে নতুন বড় ধরনের মজুত আবিষ্কৃত না হলে দেশীয় গ্যাসের সরবরাহ কমে ১০০ কোটি ঘনফুটের নিচে নামতে পারে। বাড়তি চাহিদা পূরণে এলএনজির আমদানি বাড়াতেই হবে। এ চিন্তা থেকে সরকার আরও এলএনজি টার্মিনাল করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। আমদানি করা এলএনজি তরল আকারে জাহাজে করে আনা হয়। এরপর তা
গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহ করতে হয় পাইপলাইনে। এর জন্য দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে মহেশখালীতে। এর একটি পরিচালনা করেছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি ও আরেকটি দেশীয় সামিট গ্রুপ। এ দুই টার্মিনাল দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ গ্যাস সরবরাহ সক্ষমতা ১০০ কোটি ঘনফুট।