![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
দুই কারণে যুদ্ধ থামাতে চান না নেতানিয়াহু
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/netanyahu-67ab4c785293e.jpg)
ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকার লোভ যেন মনুষ্যত্বহীন করে তুলেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। চেয়ার দখলে রাখতে গাজা যুদ্ধবিরতি থেকে সরে আসতে মরিয়া লিকুদ পার্টির এই নেতা। এমনটাই মনে করছেন খোদ ইসরাইলের অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন।
দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধ চলেছে গাজায়। ইসরাইলের বর্বরতা ও নৃশংসতায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এখন যুদ্ধবিরতি চলছে।
গাজায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে গত ১৯ জানুয়ারি। এর মেয়াদ ৪২ দিন অর্থাৎ আগামী পহেলা মার্চ পর্যন্ত। শর্ত অনুযায়ী, প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার ১৬তম দিনের আগেই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। তবে ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তা শুরু হয়নি।
এ নিয়ে ইসরাইলের বার-আইল্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন আল-জাজিরাকে জানান, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে চান না। তিনি দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রথমটি হলো, যুদ্ধ থেমে গেলে নির্বাচন দিতে হবে। আর নির্বাচনে নেতানিয়াহুর পরাজয় হতে পারে। দ্বিতীয় কারণ হলো, যুদ্ধ শেষে এ নিয়ে শুরু হবে তদন্ত। আর তাতে ফেঁসে যেতে পারেন তিনি। ক্লেইন আল-জাজিরাকে বলেন, এটা স্পষ্ট যে নেতানিয়াহু যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে চান এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে সরে আসতে চান। যুদ্ধ থামাতে জনগণের চাপ সত্ত্বেও তা চালিয়ে যাওয়ার ‘অজুহাত’ খুঁজছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তার নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। এখন নেতানিয়াহু সমগ্র গাজাবাসীকে উচ্ছেদ করতে চান।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, যুদ্ধ চললে তার কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু যদি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ে তবে তা নেতায়াহুর জন্য ক্ষতিকর। যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হলে তাকে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে। সুতরাং তার সামনে চিরকাল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি সাময়িক স্থগিত রেখেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের অভিযোগ, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মানছে না। এদিকে আগামী শনিবারের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি না দিলে ইসরাইলকে চুক্তি ভেঙে ফেলার আহ্বান করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন আল-জাজিরাকে জানান, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে চান না। তিনি দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রথমটি হলো, যুদ্ধ থেমে গেলে নির্বাচন দিতে হবে। আর নির্বাচনে নেতানিয়াহুর পরাজয় হতে পারে। দ্বিতীয় কারণ হলো, যুদ্ধ শেষে এ নিয়ে শুরু হবে তদন্ত। আর তাতে ফেঁসে যেতে পারেন তিনি। ক্লেইন আল-জাজিরাকে বলেন, এটা স্পষ্ট যে নেতানিয়াহু যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে চান এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে সরে আসতে চান। যুদ্ধ থামাতে জনগণের চাপ সত্ত্বেও তা চালিয়ে যাওয়ার ‘অজুহাত’ খুঁজছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তার নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। এখন নেতানিয়াহু সমগ্র গাজাবাসীকে উচ্ছেদ করতে চান।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, যুদ্ধ চললে তার কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু যদি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ে তবে তা নেতায়াহুর জন্য ক্ষতিকর। যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হলে তাকে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে। সুতরাং তার সামনে চিরকাল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি সাময়িক স্থগিত রেখেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের অভিযোগ, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মানছে না। এদিকে আগামী শনিবারের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি না দিলে ইসরাইলকে চুক্তি ভেঙে ফেলার আহ্বান করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।