![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/palestine-2-67a89f44283c2.jpg)
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে গুলি করে মারল ইসরাইলি সেনা
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/NIH-67a8a6d878735.jpg)
বায়োমেডিকেল গবেষণায় বরাদ্দ কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/namibia-67a89c7e793f6.jpg)
নামিবিয়ার জাতির পিতা মারা গেছেন
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/Trump-iran-67a896a14f32e.jpg)
ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/palestine-67a896911aa80.jpg)
পাঁচ দফায় মুক্ত ৫৫০ ফিলিস্তিনি ও ১৮ ইসরাইলি জিম্মি
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/Netzarim-Corridor-67a891f7e2021.jpg)
নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার শুরু
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/image-529353-1739068984.webp)
সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১ মার্চ রোজা শুরু
দিল্লিতে গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল কেজরিওয়াল
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/image-529228-1739019149.webp)
১৯৯৮ সালে শেষবার দিল্লির মসনদে বসেছিল বিজেপি। শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। এরপর কংগ্রেস দিল্লির ক্ষমতা দখল করে নেয়। ২০১৩ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি (আপ)। এক যুগ পর সেই মোহভঙ্গ হয় দিল্লিবাসীর। রাজধানীতে হেরে যায় আম আদমি পার্টি।
২৭ বছর পর খরা কাটিয়ে মোদির ম্যাজিকে দিল্লিতে আবার গেরুয়া ঝড়ের দাপট। এ বছর দিল্লি বিধান সভা নির্বাচন শেষে বিজেপি জয়ী হতে চলেছে।
৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোটের পর সব এক্সিট পোল বা বুথফেরত জরিপে এগিয়ে রাখা হয়েছিল বিজেপিকে। কংগ্রেস লড়াইয়ে থাকলেও এবার ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আপ ও বিজেপি। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় লড়েছেন ৬৯৯ জন প্রার্থী। তার মধ্যে ৬০৩
জন পুরুষ ও ৯৬ জন নারী। গত বুধবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গণনা শুরু হতেই বোঝা যায়, বুথফেরত জরিপের সমীক্ষা সত্যি হতে চলেছে। গেরুয়া ঝড়ে নাস্তানাবুদ আপ। অন্যদিকে শূন্যের হ্যাট্রিক করল কংগ্রেস। সর্বশেষ খবরে ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে এগিয়ে মোদির বিজেপি। অন্যদিকে, গত ২০২০ সালে ৬২ আসনে জেতা কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি মাত্র ২২টিতে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত সব আসনেই তৃতীয় স্থান দখলের চেষ্টায় দৌড়াচ্ছে। চতুর্থ দফায় জয়লাভ করতে ব্যর্থ দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকেও হেরে গেছেন তিনি। তাকে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রবেশ সিং। দুজনের
ভোটের ব্যবধান ৩ হাজার ১৮২। জঙ্গপুরা কেন্দ্রে হেরে গেছেন মণীশ সিসোদিয়াও। প্রায় ৬০০ ভোটে তিনি হেরেছেন বিজেপির তারবিন্দর সিংয়ের কাছে। হেরেছেন আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনও। দিল্লির শকুর বস্তী কেন্দ্র থেকে সত্যেন্দ্র জৈনকে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির কর্নেল সিং। আম আদমি পার্টির আরেক বিখ্যাত নেতা সৌরভ ভরদ্বাজও ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপির শিখা রায়ের কাছে হেরেছেন। তবে কালকাজি কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার ভোটে জিতে মানরক্ষা করেছেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত তার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে রমেশ বিধুরীর। দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে
ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনিও হেরে গিয়েছেন। এদিন হার নিশ্চিত হওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “ক্ষমতায় থাকতে রাজনীতিতে আসিনি, বিরোধী হিসেবেও মানুষের সেবা করবে আপ।” তিনি বলেন, “আশা করি বিজেপি প্রতিশ্রুতি পালন করবে। বিজেপিকে অভিনন্দন। গত ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি। দিল্লিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল- সব ক্ষেত্রে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করেছি। দেশের রাজধানীর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। এখন দিল্লির মানুষের রায় অনুযায়ী আমরা এখানে গঠনমূলক বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করব। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকব।” তিনি আরো বলেন, “ক্ষমতার লোভে রাজনীতিতে আসিনি। মানুষের সেবা করতে এসেছিলাম। আগামী দিনেও মানুষের সেবা করব। দলের সব কর্মী, সমর্থককে অভিনন্দন। অনেক পরিশ্রম করেছেন সবাই। ভালো লড়াই করেছেন।” এদিকে
ফলাফল সামনে আসতেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। শনিবার নির্বাচনী ফলাফলের গতিপ্রকৃতি জয়ের আভাস দিতে থাকায় বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনে হাজির হন শত শত সমর্থক। ঢাকঢোল বাজিয়ে নাচ, আতশবাজির পাশাপাশি লাড্ডু বিলি করেন তারা। দুপুরে দিল্লি বিজেপি পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, রাত আটটার দিকে বিজেপি সদরদপ্তরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন জয় সুনিশ্চিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয়কে উন্নয়নের জয়, সুশাসনের জয় বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। শনিবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘সবার উপরে জনশক্তি। এই ভোটে বিকাশ জিতেছে, আর দক্ষ সুশাসনের জয় হয়েছে।’’ দিল্লিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “সব ভোটার ভাই-বোনকে আমি প্রণাম
জানাই। দিল্লির উন্নয়নের জন্য আমরা কোনো চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা রেখেছি।” এদিকে, দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি সরকার গঠনের সাফল্যকে মোদির গ্যারান্টি বলে বর্ণনা করছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, “দিল্লিতে মিথ্যাচারের শাসনের অবসান হলো। এই হার অহঙ্কার ও অরাজকতার পরাজয়।” এই বিরাট জয়ের জন্য দিল্লিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহ।
জন পুরুষ ও ৯৬ জন নারী। গত বুধবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গণনা শুরু হতেই বোঝা যায়, বুথফেরত জরিপের সমীক্ষা সত্যি হতে চলেছে। গেরুয়া ঝড়ে নাস্তানাবুদ আপ। অন্যদিকে শূন্যের হ্যাট্রিক করল কংগ্রেস। সর্বশেষ খবরে ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে এগিয়ে মোদির বিজেপি। অন্যদিকে, গত ২০২০ সালে ৬২ আসনে জেতা কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি মাত্র ২২টিতে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত সব আসনেই তৃতীয় স্থান দখলের চেষ্টায় দৌড়াচ্ছে। চতুর্থ দফায় জয়লাভ করতে ব্যর্থ দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকেও হেরে গেছেন তিনি। তাকে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রবেশ সিং। দুজনের
ভোটের ব্যবধান ৩ হাজার ১৮২। জঙ্গপুরা কেন্দ্রে হেরে গেছেন মণীশ সিসোদিয়াও। প্রায় ৬০০ ভোটে তিনি হেরেছেন বিজেপির তারবিন্দর সিংয়ের কাছে। হেরেছেন আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনও। দিল্লির শকুর বস্তী কেন্দ্র থেকে সত্যেন্দ্র জৈনকে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির কর্নেল সিং। আম আদমি পার্টির আরেক বিখ্যাত নেতা সৌরভ ভরদ্বাজও ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপির শিখা রায়ের কাছে হেরেছেন। তবে কালকাজি কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার ভোটে জিতে মানরক্ষা করেছেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত তার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে রমেশ বিধুরীর। দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে
ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনিও হেরে গিয়েছেন। এদিন হার নিশ্চিত হওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “ক্ষমতায় থাকতে রাজনীতিতে আসিনি, বিরোধী হিসেবেও মানুষের সেবা করবে আপ।” তিনি বলেন, “আশা করি বিজেপি প্রতিশ্রুতি পালন করবে। বিজেপিকে অভিনন্দন। গত ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি। দিল্লিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল- সব ক্ষেত্রে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করেছি। দেশের রাজধানীর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। এখন দিল্লির মানুষের রায় অনুযায়ী আমরা এখানে গঠনমূলক বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করব। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকব।” তিনি আরো বলেন, “ক্ষমতার লোভে রাজনীতিতে আসিনি। মানুষের সেবা করতে এসেছিলাম। আগামী দিনেও মানুষের সেবা করব। দলের সব কর্মী, সমর্থককে অভিনন্দন। অনেক পরিশ্রম করেছেন সবাই। ভালো লড়াই করেছেন।” এদিকে
ফলাফল সামনে আসতেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। শনিবার নির্বাচনী ফলাফলের গতিপ্রকৃতি জয়ের আভাস দিতে থাকায় বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনে হাজির হন শত শত সমর্থক। ঢাকঢোল বাজিয়ে নাচ, আতশবাজির পাশাপাশি লাড্ডু বিলি করেন তারা। দুপুরে দিল্লি বিজেপি পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, রাত আটটার দিকে বিজেপি সদরদপ্তরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন জয় সুনিশ্চিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয়কে উন্নয়নের জয়, সুশাসনের জয় বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। শনিবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘সবার উপরে জনশক্তি। এই ভোটে বিকাশ জিতেছে, আর দক্ষ সুশাসনের জয় হয়েছে।’’ দিল্লিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “সব ভোটার ভাই-বোনকে আমি প্রণাম
জানাই। দিল্লির উন্নয়নের জন্য আমরা কোনো চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা রেখেছি।” এদিকে, দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি সরকার গঠনের সাফল্যকে মোদির গ্যারান্টি বলে বর্ণনা করছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, “দিল্লিতে মিথ্যাচারের শাসনের অবসান হলো। এই হার অহঙ্কার ও অরাজকতার পরাজয়।” এই বিরাট জয়ের জন্য দিল্লিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহ।