ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
গোমায় ১৫০ বন্দিকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা
১০ যাত্রীসহ নিখোঁজ, কী ঘটেছে মার্কিন বিমানটির ভাগ্যে?
ট্রাম্পের অর্থসহায়তা স্থগিত, সংকটে ৬,২০০ সাংবাদিক ও ৭০৭ সংবাদমাধ্যম
ভারতে কুম্ভমেলায় ফের আগুন
সৌদিতে অনেক খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করুন: নেতানিয়াহু
এবার ১০ আরোহী নিয়ে মার্কিন বিমান উধাও
দুই কোরিয়ার পুনর্মিলনের দাবির মধ্যে কিমের নতুন মানচিত্র, বিভ্রান্তি
জামাতার স্বপ্ন পূরণেই কি ‘গাজা দখল’ নিতে চান ট্রাম্প?
গাজা উপত্যকা দখল করে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা সামনে এগিয়ে নেওয়ার বেশিরভাগ অংশই করে ফেলেছেন বলে ধারণা বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের।
এটা স্পষ্ট যে, ট্রাম্পের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে একজন কমপক্ষে এক বছর ধরে একই রকম কিছু নিয়ে আলোচনা করছেন এবং এটি বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তার কাছে তহবিল এবং রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে।
ট্রাম্পের জামাতা এবং সাবেক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ‘গাজার সাগরপাড়ের সম্পত্তি খুবই মূল্যবান হতে পারে, যদি মানুষ সেখানে উপার্জনের দিকে মনোযোগ দেয়।’
কুশনার বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে ইসরাইলের দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করি,
সেখানের জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার পর এটি পরিষ্কার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ কুশনার যখন এসব কথা বলেন তখন ইসরাইল গাজার দক্ষিণ সীমান্ত শহর রাফাহতে অভিযানের কথা ভাবছিল। সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ইসরাইল বা মিশরের নেগেভ মরুভূমিতে বাস্তুচ্যুত করা যেতে পারে। চাপ দেওয়া হলে তাদের গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।’ তবে, আন্তর্জাতিক আইন বলে গাজার জলসীমা বা এর সামুদ্রিক সীমানার সম্পত্তির অধিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। ট্রাম্প প্রথমে বলেছিলেন যে মার্কিন-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা ‘বিশ্বের মানুষ’- এর জন্য উন্মুক্ত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার কোনও কারণ থাকবে না। তবে, তার উপদেষ্টারা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের ‘গাজা
দখল’- এর ঘোষণায় কুশনারও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কেবল ট্রাম্পের জামাতা কিংবা হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা নন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, কুশনার অ্যাফিনিটি পার্টনারস নামে একটি বেসরকারি ইকুইটি তহবিল চালু করেন। এই তহবিলটি ট্রাম্পের গাজায় একটি বিলাসবহুল শহর গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য প্রায় প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। গাজায় বিনিয়োগ নিয়ে কোনো আলোচনায় কুশনার এরই মধ্যে অংশ নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। ইতোপূর্বে তার ইকুইটি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে। অবশ্য, গাজা দখলে নিয়ে এটিকে অবকাশযাপন কেন্দ্রে রূপ দেওয়ার ট্রাম্পের পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। রিয়াদের রয়্যাল কোর্টের
সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মত, আরব বিশ্বের উদীয়মান শক্তি সৌদি আরব ট্রাম্পের ঘোষণাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। এটি তেমন কোনো ভাবনার মধ্যে আনা হয়নি এবং এটি কার্যকর করা অসম্ভব। তাই, দিন শেষে ট্রাম্প নিজেও তা বুঝবেন। তথ্যসূত্র: মিডলইস্ট আই।
সেখানের জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার পর এটি পরিষ্কার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ কুশনার যখন এসব কথা বলেন তখন ইসরাইল গাজার দক্ষিণ সীমান্ত শহর রাফাহতে অভিযানের কথা ভাবছিল। সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ইসরাইল বা মিশরের নেগেভ মরুভূমিতে বাস্তুচ্যুত করা যেতে পারে। চাপ দেওয়া হলে তাদের গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।’ তবে, আন্তর্জাতিক আইন বলে গাজার জলসীমা বা এর সামুদ্রিক সীমানার সম্পত্তির অধিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। ট্রাম্প প্রথমে বলেছিলেন যে মার্কিন-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা ‘বিশ্বের মানুষ’- এর জন্য উন্মুক্ত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার কোনও কারণ থাকবে না। তবে, তার উপদেষ্টারা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের ‘গাজা
দখল’- এর ঘোষণায় কুশনারও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কেবল ট্রাম্পের জামাতা কিংবা হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা নন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, কুশনার অ্যাফিনিটি পার্টনারস নামে একটি বেসরকারি ইকুইটি তহবিল চালু করেন। এই তহবিলটি ট্রাম্পের গাজায় একটি বিলাসবহুল শহর গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য প্রায় প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। গাজায় বিনিয়োগ নিয়ে কোনো আলোচনায় কুশনার এরই মধ্যে অংশ নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। ইতোপূর্বে তার ইকুইটি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে। অবশ্য, গাজা দখলে নিয়ে এটিকে অবকাশযাপন কেন্দ্রে রূপ দেওয়ার ট্রাম্পের পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। রিয়াদের রয়্যাল কোর্টের
সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মত, আরব বিশ্বের উদীয়মান শক্তি সৌদি আরব ট্রাম্পের ঘোষণাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। এটি তেমন কোনো ভাবনার মধ্যে আনা হয়নি এবং এটি কার্যকর করা অসম্ভব। তাই, দিন শেষে ট্রাম্প নিজেও তা বুঝবেন। তথ্যসূত্র: মিডলইস্ট আই।