ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ভিডিও করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র গ্যারান্টি দাঁড়িপাল্লা: শফিকুল ইসলাম মাসুদ
মুক্তিযুদ্ধে হাসিনার দলের অংশগ্রহণ কম ছিল: রিজভী
মমতা ব্যানার্জিকে যে পরামর্শ দিলেন অলি
ছাত্রদল নেতা হত্যার আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
তন্ত্রমন্ত্রে কাজ হবে না, নির্বাচন আয়োজন করুন: মামুনুল হক
ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপি-জামায়াতের প্রতিনিধি দল
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান নুর
গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ব্যতিক্রমী দল। এটি সেনা ছাউনি, সামরিক বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা বা সরকারের আনুকূল্যে গঠিত কোনো দল নয়। বরং এটি আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া একটি দল। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে এর সূচনা ঘটে। সেই আন্দোলনের সফল নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও দলটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
বিশেষত ৯০-পরবর্তী তরুণ প্রজন্মের দৃঢ় বিশ্বাস যে, বর্তমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন একান্ত প্রয়োজন। পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশের নির্মাণ সম্ভব নয়। তাই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ই আমাদের মূল লক্ষ্য।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের আমন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে একটি
সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে যে, গণঅভ্যুত্থানের পেছনে গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই দুঃশাসন কার্যত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। এটি রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক, মানবিক ও জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার অনিবার্য। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক দশকের বিতর্কিত নির্বাচনগুলোতে জনপ্রতিনিধিদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই অন্তত জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি মডেল স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব এসেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সকলেই বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের সফলতা ধরে রাখতে রাজনৈতিক ঐক্য ও
সংহতি অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড জনগণের প্রতি সহনশীল হতে হবে। কোনো দল যদি হানাহানি, দখলদারি বা চাঁদাবাজির মতো কার্যক্রম চালায়, তবে জনগণ সেই দলকে প্রত্যাখ্যান করবে। শেষে, আওয়ামী লীগের অতীত ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের কারণে তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ এদেশের রাজনীতিতে আর কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্ট যে, গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয়; এটি বাংলাদেশের নতুন ভবিষ্যৎ নির্মাণের সংগ্রাম।
সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে যে, গণঅভ্যুত্থানের পেছনে গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই দুঃশাসন কার্যত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। এটি রাষ্ট্র পুনর্গঠন, সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক, মানবিক ও জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার অনিবার্য। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক দশকের বিতর্কিত নির্বাচনগুলোতে জনপ্রতিনিধিদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই অন্তত জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি মডেল স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব এসেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সকলেই বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের সফলতা ধরে রাখতে রাজনৈতিক ঐক্য ও
সংহতি অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড জনগণের প্রতি সহনশীল হতে হবে। কোনো দল যদি হানাহানি, দখলদারি বা চাঁদাবাজির মতো কার্যক্রম চালায়, তবে জনগণ সেই দলকে প্রত্যাখ্যান করবে। শেষে, আওয়ামী লীগের অতীত ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের কারণে তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ এদেশের রাজনীতিতে আর কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্ট যে, গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয়; এটি বাংলাদেশের নতুন ভবিষ্যৎ নির্মাণের সংগ্রাম।