ইলিয়াস আলীসহ সব গুম ‘রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়’ হয়েছে: রিজভী – U.S. Bangla News




ইলিয়াস আলীসহ সব গুম ‘রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়’ হয়েছে: রিজভী

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫:২০
‘বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ সব গুম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর গুমের বুধবার ১২ বৎসর পূর্ণ হলো। তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তান-পরিবারসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী। শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানী বনানীর ২ নম্বর সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাড়িচালক আনসার আলীসহ তুলে নিয়ে

যায় ইলিয়াস আলীকে। এরপর গাড়িটি পাওয়া গেলেও হদিস মিলেনি তাদের। একথা আজ জনগণের সামনে স্পষ্ট যে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম আর টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠা গণআন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে ইলিয়াস আলী রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির গাত্রদাহের প্রধান কারণ ছিলেন। ইলিয়াস আলী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ইলিয়াস আলীর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় ঈর্ষান্বিত সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তাকে গুম করে রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর সরকার বহুবিধ নাটক সাজিয়েছে। ওই সময় তার বিরুদ্ধে অশোভন কথা লিখে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছিল সরকারের এজেন্টরা। গুমের

ঘটনার পর তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন এবং ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার আশ্বাস ছিল লোক দেখানো। কারণ, ওই সময় বিএনপির পাঁচ দিন হরতাল ছিল। আর বিএনপির সে হরতাল ও আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্যই ছিল ওই মিথ্যা আশ্বাস।’ রিজভী বলেন, ‘ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পরে থানায় জিডি করা হয়, কোর্টে মামলা করা হয়। এরপরও তাকে ফিরিয়ে দেননি শেখ হাসিনা। ইলিয়াস আলীর সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালানোর হাস্যকর নাটক করতে দেখা যায়। উচ্চ আদালতে করা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার রিট আবেদনের শুনানিও আটকে দেয় সরকার। অর্থাৎ অদৃশ্য হওয়া নাগরিককে

ফেরত দেওয়ার উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বাধাগ্রস্ত করে সরকার। বেআইনি গুম-খুনের ফেস্টিভ্যাল পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ইলিয়াস আলীকে গুম করার ঘটনা কাকতালীয় বিষয় বা তাকে গুম করা শুধু সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমরা মনে করি না। আমাদের বুঝতে হবে কী কারণে তিনি গুম হলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার অবস্থানের কারণে ইলিয়াস আলী আজ অদৃশ্য। যারা অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদেরই অত্যন্ত সচেতনভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, আয়নাঘরে আটক করে রাখা হচ্ছে। ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার প্রমাণ অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য

সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে ভারতে। সেখানে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে দেয়।’ তিনি বলেন, ‘গুম-খুন-ক্রসফায়ার বাহিনী র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে গুমের মাত্রা কিছুটা কমলেও এখনো গুম হচ্ছে, তবে গুমের প্যাটার্ন চেঞ্জ হচ্ছে। সেটা হলো আগে যারা গুম হতো তারা আর ফেরত আসত না। তবে এখন যারা গুম হচ্ছেন তারা ৫ দিন ৭ দিন এমনকি এক মাস পরেও কেউ কেউ ফেরত আসছে। অথবা লাশ পাওয়া যাচ্ছে। গুম বাহিনী এখন স্বল্প সময়ের জন্য গুম করছে। এই স্বল্প সময়ের গুম হওয়াটাও খুবই ভয়ংকর।’ রিজভী বলেন, ‘সরকার কোনোভাবেই ইলিয়াস আলীর গুমের দায় এড়াতে পারে

না। একজন রাজনীতিবিদকে গুম করার মাধ্যমে তার আদর্শকে শেষ করা যায় না। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করা উচিত। প্রত্যেকটি গুমের পেছনে আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। বিভিন্ন সময় তাদের মুখ থেকেই এ কথা বেরিয়ে আসছে। তাদের কেউ কেউ স্বীকারও করেছেন। গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা মানবতার সবচেয়ে ভয়াবহতম অপরাধ। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ সরকারের গুমের শিকার নেতাকর্মীসহ সবাইকে অক্ষত অবস্থায় যার যার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় একদিন প্রতিটি গুম-খুনের দায়ে বিচারের জন্য তৈরি হোন।’ তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বুধবার আদালতে জামিন আবেদন

করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তার মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘আনু মুহাম্মদ জুতা-মোজা পরে নিজে নিজেই হাঁটতে পারবেন’ পাসওয়ার্ড ছাড়াই লক করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুযোগ নেই: ইসি আলমগীর যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বেঁকে গেছে রেললাইন টানা সপ্তম দফায় সোনার দাম কমল ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা স্থগিত কুয়ালালামপুরে ডুয়ামের মেগা ইভেন্টে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মাননা প্রদান তীব্র দাবদাহ রাত ৮ টার পর দোকানপাট খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন: তাপস দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড মে দিবসে নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আ.লীগের ত্রাণবিষয়ক উপ-কমিটির পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২ মে পর্যন্ত থাকছে ছুটি বিএসএমএমইউর সঙ্গে যুক্ত হলো ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো বাংলাদেশে আজ সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ: রিজভী ইসরাইলে কারাবন্দি থেকে উপন্যাস লিখে পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি লেখক বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের টিকিটের মূল্য প্রকাশ আফগানিস্তানে মসজিদের ভেতরে হামলা, নিহত ৬