
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আয়ারল্যান্ডে গণকবরের সন্ধান, গোপন চেম্বারে ৭৯৬ শিশুর সমাধি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

কর্ণাটকে বিপজ্জনক গুহা থেকে দুই শিশুকন্যাসহ বসবাসকারী রুশ নারী উদ্ধার

এপস্টিন নথি প্রকাশ করতে ট্রাম্পকে ইলন মাস্কের সরাসরি চ্যালেঞ্জ

রাজনীতিতে আসছেন ইমরানের খানের দুই ছেলে

হাসপাতালে ভর্তি মাহাথির মোহাম্মদ

প্রেমিকের সঙ্গে পালাল স্ত্রী, দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর
ইরান কেন পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে না?

বিশ্ব রাজনীতিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি একটি বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত ইস্যু। পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল, বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে—ইরান নাকি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা (আইএইএ) বা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আজও পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি যা এ দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। অপরদিকে, ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
প্রশ্ন হলো, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন? আর যদি তা না-ই চায়, তাহলে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর
উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে। ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ও নৈতিক অবস্থান ২০০৩ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি ঐতিহাসিক ফতোয়া জারি করেন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয় : ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মজুদ কিংবা ব্যবহার ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।’ এই ধর্মীয় সিদ্ধান্তটি শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থানও, যেখানে নিরীহ মানুষের হত্যাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। পারমাণবিক বোমা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে না, বরং শহর, জনপদ ও লাখ লাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ হরণ করে। ইসলামি যুদ্ধনীতিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কুরআনে বলা হয়েছে : ‘যে ব্যক্তি একজন
নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা ৫:৩২) ইরান মনে করে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার শুধু মানবতার বিরুদ্ধে নয়, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিরুদ্ধে চরম অন্যায়। হিরোশিমা-নাগাসাকির দৃষ্টান্ত এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ দেয়। কৌশলগত ও সামরিক বাস্তবতা অনেকের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেই একটি দেশ নিরাপদ থাকে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলেও ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে বাধ্য হয়। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে। এমনকি রাশিয়া, যাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সঙ্গে কৌশলগতভাবে চাপে পড়েছে। ইসরাইলও, অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও ইরানের ‘অপারেশন
ট্রু প্রমিজ’-এ বড় ধরনের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই বাস্তবতা ইরানকে বুঝিয়ে দিয়েছে—পারমাণবিক অস্ত্র নয়, কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তাই তারা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন এবং কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে জোর দিয়েছে।
উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে। ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ও নৈতিক অবস্থান ২০০৩ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি ঐতিহাসিক ফতোয়া জারি করেন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয় : ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মজুদ কিংবা ব্যবহার ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।’ এই ধর্মীয় সিদ্ধান্তটি শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থানও, যেখানে নিরীহ মানুষের হত্যাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। পারমাণবিক বোমা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে না, বরং শহর, জনপদ ও লাখ লাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ হরণ করে। ইসলামি যুদ্ধনীতিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কুরআনে বলা হয়েছে : ‘যে ব্যক্তি একজন
নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা ৫:৩২) ইরান মনে করে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার শুধু মানবতার বিরুদ্ধে নয়, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিরুদ্ধে চরম অন্যায়। হিরোশিমা-নাগাসাকির দৃষ্টান্ত এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ দেয়। কৌশলগত ও সামরিক বাস্তবতা অনেকের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেই একটি দেশ নিরাপদ থাকে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলেও ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে বাধ্য হয়। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে। এমনকি রাশিয়া, যাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সঙ্গে কৌশলগতভাবে চাপে পড়েছে। ইসরাইলও, অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও ইরানের ‘অপারেশন
ট্রু প্রমিজ’-এ বড় ধরনের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই বাস্তবতা ইরানকে বুঝিয়ে দিয়েছে—পারমাণবিক অস্ত্র নয়, কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তাই তারা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন এবং কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে জোর দিয়েছে।