
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

টপ ফিফটি এশিয়ান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৩ বাংলাদেশি

ইউনূস-সরকারের সাথে যোগাযোগ করা ৬ শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা বরখাস্ত

শুল্ক ইস্যু: যুক্তরাষ্ট্রকে ৪৮ ঘণ্টায় দুটি চিঠি দেবে সরকার

শুল্কারোপ আমাদের জন্য ভালো সংকেত, ব্যাখ্যা দিলেন চৌধুরী আশিক মাহমুদ

৩ সচিব পদে রদবদল

বেসামাল নরসিংদীর এসপি

টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ খুলছে অফিস
আন্ডারওয়ার্ল্ডে ধাক্কা পুলিশের, দুই বাহিনী প্রধানসহ গ্রেফতার অর্ধশত

কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণকারীদের অনেকটা ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। একাধিক সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে দুই বাহিনী প্রধানসহ অন্তত ৪৫ জন। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার এসব অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া শটগানও রয়েছে। পরপর অভিযানে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে সন্ত্রাসীদের বড় গ্রুপগুলো।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনার আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করত চারটি গ্রুপ। নুর আজিম গ্রুপ, পলাশ বাহিনী, গ্রেনেড বাবু ও আশিক বাহিনী। চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০টি বড় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
এ সময় নুর আজিম গ্রুপের প্রধান, পলাশ গ্রুপের প্রধান ও গ্রেনেড বাবুর ম্যানেজারসহ গ্রেফতার হয়েছে ৪৫ জন।
একই সময় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৩০টি অস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে পুলিশের খোয়া যাওয়া শটগান। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর সন্ত্রাসী বাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করেছে বলে কেএমপির গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। গ্রেনেড বাবুর বাবাসহ সহযোগী গ্রেফতার : গত শুক্রবার রাতে খুলনার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে অভিযান চালান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় গ্রেনেড বাবুকে পাওয়া না গেলেও তার বাড়ি থেকে একাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানে বাবুর বাবা মিন্টু চৌধুরী, ছোট ভাই রাব্বি চৌধুরী এবং বাবুর ম্যানেজার সৌরভ ও সুষমা রাণী সাহাকে আটক করা হয়। খুলনা থানার ওসি হাওলাদার
সানোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, অভিযানে বাবুর ঘর থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি এবং ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে বাড়ির পাশের একটি মন্দিরসংলগ্ন স্থানে ম্যানেজার সৌরভ ও সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রির ২৬ লাখ টাকা ও ভারতীয় চার হাজার ২৪০ রুপি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, বাবু খুলনা শহরের ত্রাস হিসাবে পরিচিত। কিশোর গ্যাং পরিচালনার মাধ্যমে মাদক ব্যবসাই বাবুর মূল ব্যবসা। শহরে গোলাগুলি ও খুনাখুনির পেছনে বাবুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রেনেড বাবুর প্রকৃত নাম রনি চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে
এবং তার গঠিত সন্ত্রাসী গ্রুপের অস্ত্রধারী সদস্য ছয়জনের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ৩৩টি মামলা। ওই সদস্যরা হলেন মো. শাকিল, মো. সাব্বির শেখ, আসাদুজ্জামান ওরফে বিল রাজু ও বিকুল। মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর হোসেন কচিকে হত্যা মামলায় বাবু যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সন্ত্রাসী পলাশের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি : ঈদের আগের দিন রাতে সন্ত্রাসী পলাশ বাহিনীর সাথে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকার একটি বাড়িতে প্রায় ছয় ঘণ্টাব্যাপী হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় নৌবাহিনীর দুজন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পলাশ বাহিনীর প্রধান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, পিস্তলের চার রাউন্ড গুলি,
একটি শটগান, শটগানের ২৩ রাউন্ড গুলি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, একটি হাঁসুয়া, দুটি চাকু, চারটি মোবাইল ফোন এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার পলাশ নগরীর মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুল হান্না শেখের পুত্র। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। কেএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ-রোহান গ্রুপের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সৈকত রোহান ২০১৬ সালে ৩১ আগস্ট প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। এ মামলার অন্যতম আসামি হলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ওরফে ডন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আটক হওয়া কালা লাভলু, সৈকত রহমান, মহিদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, মো. আরিফুল, মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ, ইমরানুজ্জামান,
ইমরান, রিপন ও ফজলে রাব্বি রাজন হচ্ছে পলাশের প্রধান সহযোগী। এরা পলাশের মাদক বিক্রির সহযোগী। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) মো. আজম খান জানান, পলাশ দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিল। সম্প্রতি সে আবারও শহরে এসে তার টিম পুনর্গঠিত করতে চাচ্ছিল। আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিলাম। পরে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকেই তাকেসহ তার দোসরদের গ্রেফতার করি। এ ছাড়াও হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক ও খাইরুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, তার বসতঘরে টিনের বাক্সে রাখা একটি শটগান এবং শটগানের সাত রাউন্ড কার্তুজ, ঘরের ভেতরের
দেয়ালের উপর থেকে পিস্তলের আট রাউন্ড তাজা গুলি এবং এক রাউন্ড এমটি কার্তুজ, তার ঘরের খাটের নিচ থেকে একটি বড় রামদা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উদ্ধার শটগান বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র। গ্রেফতার হয়েছে সন্ত্রাসী নুর আজিম : খুলনায় মাদক ব্যবসার অন্যতম গডফাদার নুর আজিমও গ্রেফতার হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা টিম গত ৩১ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে নুর আজিমসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন নুর আজিমের সহযোগী ফয়সাল আহমেদ দ্বীপ (২৫), রিয়াজুল ইসলাম রাজু (৩৫), কামরুজ্জামান নাঈম (২৫) এবং রানা তালুকদার (২৯)। তাদের বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শহরের অর্ধেক মাদক সিন্ডিকেট তার দখলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে আশিক বাহিনী : খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন চানমারী এলাকার বাসিন্দা আশিক নিজ নামে দল গঠন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম হত্যা মামলায় জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হন। এ পর্যন্ত তার নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার দলে সদস্য রয়েছেন ২৩ জন। তাদের নামে মোট মামলা রয়েছে ১১০টি। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে কাজ করছি। আশিক ও গ্রেনেড বাবুকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অবিলম্বে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
একই সময় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৩০টি অস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে পুলিশের খোয়া যাওয়া শটগান। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর সন্ত্রাসী বাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করেছে বলে কেএমপির গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। গ্রেনেড বাবুর বাবাসহ সহযোগী গ্রেফতার : গত শুক্রবার রাতে খুলনার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে অভিযান চালান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় গ্রেনেড বাবুকে পাওয়া না গেলেও তার বাড়ি থেকে একাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানে বাবুর বাবা মিন্টু চৌধুরী, ছোট ভাই রাব্বি চৌধুরী এবং বাবুর ম্যানেজার সৌরভ ও সুষমা রাণী সাহাকে আটক করা হয়। খুলনা থানার ওসি হাওলাদার
সানোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, অভিযানে বাবুর ঘর থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি এবং ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে বাড়ির পাশের একটি মন্দিরসংলগ্ন স্থানে ম্যানেজার সৌরভ ও সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রির ২৬ লাখ টাকা ও ভারতীয় চার হাজার ২৪০ রুপি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, বাবু খুলনা শহরের ত্রাস হিসাবে পরিচিত। কিশোর গ্যাং পরিচালনার মাধ্যমে মাদক ব্যবসাই বাবুর মূল ব্যবসা। শহরে গোলাগুলি ও খুনাখুনির পেছনে বাবুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রেনেড বাবুর প্রকৃত নাম রনি চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে
এবং তার গঠিত সন্ত্রাসী গ্রুপের অস্ত্রধারী সদস্য ছয়জনের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ৩৩টি মামলা। ওই সদস্যরা হলেন মো. শাকিল, মো. সাব্বির শেখ, আসাদুজ্জামান ওরফে বিল রাজু ও বিকুল। মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর হোসেন কচিকে হত্যা মামলায় বাবু যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সন্ত্রাসী পলাশের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি : ঈদের আগের দিন রাতে সন্ত্রাসী পলাশ বাহিনীর সাথে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকার একটি বাড়িতে প্রায় ছয় ঘণ্টাব্যাপী হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় নৌবাহিনীর দুজন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পলাশ বাহিনীর প্রধান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, পিস্তলের চার রাউন্ড গুলি,
একটি শটগান, শটগানের ২৩ রাউন্ড গুলি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, একটি হাঁসুয়া, দুটি চাকু, চারটি মোবাইল ফোন এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার পলাশ নগরীর মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুল হান্না শেখের পুত্র। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। কেএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ-রোহান গ্রুপের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সৈকত রোহান ২০১৬ সালে ৩১ আগস্ট প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। এ মামলার অন্যতম আসামি হলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ওরফে ডন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আটক হওয়া কালা লাভলু, সৈকত রহমান, মহিদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, মো. আরিফুল, মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ, ইমরানুজ্জামান,
ইমরান, রিপন ও ফজলে রাব্বি রাজন হচ্ছে পলাশের প্রধান সহযোগী। এরা পলাশের মাদক বিক্রির সহযোগী। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) মো. আজম খান জানান, পলাশ দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিল। সম্প্রতি সে আবারও শহরে এসে তার টিম পুনর্গঠিত করতে চাচ্ছিল। আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিলাম। পরে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকেই তাকেসহ তার দোসরদের গ্রেফতার করি। এ ছাড়াও হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক ও খাইরুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, তার বসতঘরে টিনের বাক্সে রাখা একটি শটগান এবং শটগানের সাত রাউন্ড কার্তুজ, ঘরের ভেতরের
দেয়ালের উপর থেকে পিস্তলের আট রাউন্ড তাজা গুলি এবং এক রাউন্ড এমটি কার্তুজ, তার ঘরের খাটের নিচ থেকে একটি বড় রামদা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উদ্ধার শটগান বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র। গ্রেফতার হয়েছে সন্ত্রাসী নুর আজিম : খুলনায় মাদক ব্যবসার অন্যতম গডফাদার নুর আজিমও গ্রেফতার হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা টিম গত ৩১ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে নুর আজিমসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন নুর আজিমের সহযোগী ফয়সাল আহমেদ দ্বীপ (২৫), রিয়াজুল ইসলাম রাজু (৩৫), কামরুজ্জামান নাঈম (২৫) এবং রানা তালুকদার (২৯)। তাদের বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শহরের অর্ধেক মাদক সিন্ডিকেট তার দখলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে আশিক বাহিনী : খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন চানমারী এলাকার বাসিন্দা আশিক নিজ নামে দল গঠন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম হত্যা মামলায় জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত হন। এ পর্যন্ত তার নামে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার দলে সদস্য রয়েছেন ২৩ জন। তাদের নামে মোট মামলা রয়েছে ১১০টি। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে কাজ করছি। আশিক ও গ্রেনেড বাবুকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অবিলম্বে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।