অনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নথি – ইউ এস বাংলা নিউজ




অনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নথি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ মে, ২০২৫ | ৫:০১ 30 ভিউ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাগজের ওপর নির্ভরশীল হলেও ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কিছু শাখায় ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লাগে। তবে অবহেলিত অবস্থায় রয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও ট্রান্সক্রিপ্ট সেবা শাখাগুলো। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) না থাকা, জরাজীর্ণ পরিবেশ, কাগজে নির্ভরশীল হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব নথি। এ তিন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতিরিক্ত গরমের কারণে রুমগুলোর আর্দ্রতা বেড়ে যায়। যার ফলে ৪০ থেকে ৫০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও ট্যাবুলেশন শিটসহ গুরুত্বপূর্ণ সব নথি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শত বছরের পুরোনো

নথির অনেকগুলো আবার ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। সার্টিফিকেট শাখায় কর্মরত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ২০২২-২৩ সাল থেকে আমরা প্রিন্ট সার্টিফিকেট দিচ্ছি। কিন্তু এর আগের অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যারা সার্টিফিকেট নিতে আসতেছে, তাদের হাতে লেখা সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে। ২০২৩ সালে এখানে কম্পিউটার দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালে আমরা অন্য জায়গা থেকে সার্টিফিকেট প্রিন্ট করে নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের দিতাম। সার্টিফিকেট শাখার এক কর্মচারী ১৯৬২ সালের একটি ফাইল দেখালেন। যেখানে দেখা যায়, ফাইলের সব পাতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক পাতা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। তিনি জানালেন, এসি না থাকায় অতিরিক্ত গরমে এ অবস্থা হয়েছে। মার্কশিট

ট্যাবুলেশন শাখার সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, আমাদের এখানে ১০ হাজারের অধিক ট্যাবুলেশন শিট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারের ফল নিয়ে তৈরি করা হয় এসব ট্যাবুলেশন শিট। এর মধ্যে অনেক শিট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সের শিটগুলো নষ্ট হচ্ছে বেশি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে এরকম হচ্ছে। পাশাপাশি এগুলো নষ্ট হয়ে গেলে বিকল্প হিসেবে নেই কোনো ব্যবস্থা। জানা যায়, সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য প্রতিদিন ২০০টির বেশি আবেদন জমা হয় সার্টিফিকেট শাখায়। এর মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে প্রিন্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। বাকিগুলো হাতে লেখা সার্টিফিকেট দিতে হয়। তিন শাখা মিলিয়ে প্রতিদিন

১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসব শাখায় আসেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটাল আর্কাইভ হলে যুগ যুগ ধরে এসব কাগজপত্র টিকে থাকবে। এতে করে এসব শাখার কাজে যেমন গতিশীলতা আসবে পাশাপাশি কাজের চাপও কমবে। যার যা তথ্য দিতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিপদে পড়বে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তী বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও ডিজিটাল আর্কাইভ না হওয়ায় অনেক মূল্যবান নথি নষ্ট হচ্ছে। যদি কোনো দুর্ঘটনা হয়, তাহলে এসব নথি দেওয়ার উপায় থাকবে না। এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে এসব শাখার কাজেও গতি আসবে, পাশাপাশি সেবার মানও বাড়বে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতেছি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ

খান সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমি এ বিষয়ে শাখা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। পুরোপুরি সমাধান না করতে পারলেও আপাতত যতটুকু পারা যায় ততটুকু করব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যুক্তরাষ্ট্রে ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন’র আত্মপ্রকাশ তসলিমা নাসরিনের সাহসি উচ্চারণ:মৌলবাদিদের গুরু ইউনূসকে না সরালে দেশের উন্নতি হবে না ডিসির আপত্তিকর ভিডিওকাণ্ডে তদন্ত কমিটি আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানি হামলার নিন্দা জানাল কাতার ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনে কানাডার সহযোগিতা চায় জামায়াত ১৮তম নিবন্ধনের সংশোধিত ফল প্রকাশ, নতুন বিতর্ক শুরু চিকুনগুনিয়া বিষয়ে সতর্ক বার্তা, ১৪০ জনের শরীরে শনাক্ত করোনায় একদিনে ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯ ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ডিএমপির ৩ সহকারী কমিশনারকে বদলি সিরিয়ার গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ২৫ গায়ে কাপনের কাপড় জড়িয়ে শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রের আন্দোলন এবার ছড়িয়ে পড়ল মাঠ প্রশাসনে ইসরায়েলসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিই এখন ইরানের টার্গেট কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবার ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাতার এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ইরানে আবারো হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র? যুদ্ধ শেষ করতে ইরানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইসরায়েল