প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেক আটকে হয়রানি করেছেন প্রতিমন্ত্রী

১৩ নভেম্বর, ২০২৩ | ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নাতনির চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর সাহায্যের আবেদন করেছিলেন যশোরের মনিরামপুরের গাঙ্গুলিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বৃদ্ধ মশিউর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর চেকও পেলেও সেই চেক শেষ পর্যন্ত অসুস্থ নাতনির চিকিৎসায় কাজে লাগেনি। স্থানীয় সংসদ-সদস্য ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে টালবাহানায় চেক পেতে দেরি হওয়ায় ওই বৃদ্ধ নাতনির ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারেননি। ৯ নভেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বৃদ্ধ মশিউর রহমান। তিনি জানান, তার নাতনি বিলকিস খাতুন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে ডাক্তার দেখিয়ে তিনি অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হন। দরিদ্র হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল শাখার ৫০ হাজার টাকার তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালেয়ে ঘুরে তিনি চেকটি পাননি। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে চেকটি সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন আটকে রাখায় অর্থ অভাবে বিনা চিকিৎসায় নাতনি বিলকিস খাতুনের মৃত্যু হয়। মশিউর রহমান অভিযোগ করেন, দুই মাস আগে চেকটি পান। তবে সে সময় তাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকা সময়মতো না পাওয়ায় অর্থাভাবে নাতনির মৃত্যুর ঘটনায় এ চক্রান্তে জড়িত সবাই বিচারের দাবি করেছেন মশিউর রহমান। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, মশিউর একটি স্কুলের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই স্কুলের ১০টি কম্পিউটারের মধ্যে দুটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই কারণে এলাকার লোকজন তাকে এখন চাপ দিচ্ছে। সে নিজেকে বাঁচাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। পাশাপাশি আমার যারা প্রতিপক্ষ রয়েছে, তারাও তাকে উসকে দিচ্ছে। ওনার অভিযোগ মিথ্যা।