কোর কমিটির সভা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ

৩১ অক্টোবর, ২০২৩ | ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

একদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধ, অন্যদিকে শ্রমিক অসন্তোষ সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। একজন শ্রমিকের মৃত্যুতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জান খান কামাল। সোমবার বেলা ৩টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিনি কনফারেন্স রুমে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ডিজি, ডিজিএফআইয়ের ডিজি, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, বিজিবি ডিজি, শিল্পাঞ্চল পুলিশ প্রধান, র‌্যাবের ডিজি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ডিজি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান উপস্থিতি ছিলেন। প্রায় ২ ঘণ্টার এ সভায় দেশের সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। তবে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বলেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিতে তৎপর। তারা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে। ইতোমধ্যে গত ২৮ অক্টোবর তারা ঢাকায় নৈরাজ্য করেছে। চলমান অবরোধেও তারা অগ্নিসংযোগ, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইবে। ইতোমধ্যে জামায়াত বলেছে তারা প্রতিশোধ নিতে মাঠে নেমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন করে নির্দেশনা দিতে বাহিনীপ্রধানদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কোর কমিটির সভা সবসময় হয় না। সংকট সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণে এ সভা ডাকা হয়। ৭২ ঘণ্টার অবরোধে বিরোধী দল যাতে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে বিষয়ে সব বাহিনীর সব ইউনিটকে তৎপর হতে বলা হয়েছে। একদিকে রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি অন্যদিকে শ্রমিকদের নিয়ে অনেকটা চ্যালেঞ্জ মনে করছে সরকার। সে ক্ষেত্রে পুলিশ, বিজিবি, আনসার এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে আগাম সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য বিশ্লেষণ করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ফজর নামাজের পর জামায়াত সারা দেশে অপতৎপরতা চালাতে পারে। তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দুর্যোগের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় সেই দিকে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে সন্তোষজনক আচরণ করে তাদের বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বসে কথা বলতে বলা হয়েছে।