নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এ বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী উদযাপিত

২৫ জুন, ২০২৩ | ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক-এ আজ (২৩ জুন ২০২৩) ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করে। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল যোগ করেন যে, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ আব হিউম্যানিটি’ বলে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-কে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, শহিদ হাসান, তাজুল ইমাম ও দিনাত জাহান মুন্নীসহ খ্যাতনামা শিল্পীগণের পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। নিউইয়র্কস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস (বাফা) ও মেজেজা আশ্রাফ মোনালিসার ছন্দপূর্ণ সৃজনশীল নৃত্য ও গোপন সাহার আবৃত্তি অতিথিদের মুগ্ধ করে। আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বিভিন্ন প্রকার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার দ্বারা আপ্যায়নের মাধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।