‘হাসির স্কুলে’ ভর্তি হচ্ছেন জাপানিরা

৭ জুন, ২০২৩ | ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, টানা ২-৩ বছর ধরে মুখে মাস্ক পরে থাকতে থাকতে এখন হাসিই ভুলে গেছেন জাপানের মানুষ! হারানো সেই হাসি ফিরিয়ে আনতে ছোটবেলার মতো সেই ‘কিন্ডারগার্টেনে’ ভর্তি হচ্ছেন তারা। হাসির স্কুলখ্যাত এসব কোচিং সেন্টারে তারা শিখছেন প্রাণ খুলে হাসির নিয়ম। আর শিশুদের মতো ইনিয়ে-বিনিয়ে, অভিনয় করে একেবারে হাতে-কলমে হাসি শেখাচ্ছেন তাদের প্রশিক্ষক। সম্প্রতি ‘হাসতে শেখো’বিষয়ক কোচিং সেন্টার সকেই আর্ট স্কুলের একটি ভিডিও বেশ শোরগোল ফেলেছে জাপানে। করোনার পর থেকে টোকিওতে এমন একাধিক হাসি শিক্ষণ কেন্দ্র গজিয়ে উঠেছে। তবে প্রশিক্ষক কেইকো কাওয়ানোর স্মাইল এডুকেশন নামের ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেন্টারটির নামডাকই এখন বেশি। সাবেক রেডিও উপস্থাপক। এক ঘণ্টার এক সেশনে শিক্ষার্থীপ্রতি ৫৫ ডলার করে নেন কেইকো। বাজারে তার চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। কেইকোর হাসি শেখানোর কৌশলটাও মজার। শিক্ষার্থীদের মুখের সামনে আয়না ধরেন। এরপর হাসার জন্য যে পেশিগুলো রয়েছে সেগুলোতে আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে হাসার নিয়ম শিখিয়ে দেন। কেইকো মনে করেন জাপানি নাগরিকরা এমনিতেই পশ্চিমাদের তুলনায় কম হাসেন। করোনায় মাস্ক ব্যবহারের ফলে হাসির প্রবণতা আরও কমেছে। তিনি আরও জানান, মাস্ক ব্যবহারের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর জাপানের মানুষ এখন হাসতে চাইছে। জাপানে এই ‘স্মাইল এডুকেশন’ পাঠের চাহিদা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরও জাপানিদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা থেকে গেছে। জরিপ বলছে, সেখানে ৫৫ শতাংশ মানুষ এখনো মাস্ক ব্যবহার করছেন। সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স