সিসিক নির্বাচন: কাউন্সিলর পদে নারীর চশমা-আনারস, পুরুষের পছন্দ ঘুড়ি

৫ জুন, ২০২৩ | ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে শুরু হয়েছে উৎসবমুখর প্রচারণা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সমর্থন আদায়ে ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ব্যানার-পোস্টার সাটিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে নগরীর ৫৬টি কাউন্সিলর পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ৩৬০ প্রার্থী। এর মধ্যে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৭ জন নারী কাউন্সিলর ও ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রতীক হিসেবে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে চশমা ও আনারস। সাধারণ কাউন্সিলর পদে সর্বাধিক প্রার্থী লড়ছেন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে। সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দকৃত প্রতীক পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১২ জন করে প্রার্থী ভোটযুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন আনারস ও চশমা প্রতীক। এছাড়া ১১ জন বই এবং ১০ জন করে মোবাইল ফোন ও জিপ গাড়ি বেছে নিয়েছেন। সাতজন করে প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক ডলফিন, হেলিকপ্টার ও গ্লাস। বেহালা ও স্টিল আলমারীকে প্রতীক নিয়ে লড়ছেন চারজন করে প্রার্থী। একজন করে প্রার্থী ফুটবল, আপেল ও টিয়াপাখি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এদিকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের প্রতীকের মর্যাদা পেয়েছে ঘুড়ি। সবমিলে ৪১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীক লাটিম। ৩২ জন করে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীক ঠেলাগাড়ি ও টিফিন ক্যারিয়ার। এছাড়া ২৪ জন রেডিও, ২২ জন ট্রাক্টর, ২০ জন ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট, ১৭ জন ঝুড়ি, ১৬ জন মিষ্টি কুমড়া, ৮ জন এয়ার কন্ডিশনার, ৬ জন কাঁটা চামচ, ৫ জন করাত, ৩ জন পান পাতা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। দুইজন করে প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক প্রদীপ, কাঁচি, সূর্যমুখী ফুল ও ক্যাপ। এছাড়া ড্রেসিং টেবিল, হেডফোন, হেলমেট ও স্টবেরি প্রতীকে নির্বাচন করছেন একজন করে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, প্রত্যেক প্রার্থী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে পছন্দের প্রতীকের নাম জমা দিয়েছিলেন। একটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক একই থাকলে আলোচনা বা লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।