‘ভোটারদের বিতরণের জন্য রাখা বস্তাভরা টাকা গেল কই’

২ জুন, ২০২৩ | ১১:৩০ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের পক্ষ হয়ে বস্তাভরা টাকা বিতরণের অভিযোগে নারী সমর্থককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযানের পর বস্তাভরা টাকা উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে টাকার বস্তা ঘিরে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সবার প্রশ্ন- ভোটারদের বিতরণের জন্য রাখা বস্তা ভরা টাকা গেল কই? ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিতরণের জন্য বস্তাভরা টাকা রাখার খবরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ অভিযান চালায়। এদিকে জরিমানার পর নারীদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ, তার ভাই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল, তাদের বোন তাহমিনা হক তাদের শতাধিক সমর্থক নিয়ে ওই বাসার সামনে অবরোধ করে নানা উত্তেজনাকর স্লোগান দেয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিনের বাসায় চালানো অভিযানে টাকা বিতরণের টোকেন পেয়ে কোহিনূর আকতার নামে এক নারী সমর্থককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জসিম উদ্দিন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাশেদের বাহারছরা এলাকার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক বলে প্রচার রয়েছে। কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আহমেদ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটারদের মধ্যে বস্তাভরা নগদ টাকা বিতরণের খবর পেয়ে এক অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শহরের বাহারছড়া স্কুলের বিপরীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনের বাড়ির সামনে একদল নারী নারকেল গাছ প্রতীকের পক্ষে একটি বিশেষ টোকেন প্রদানকালে বেশ কিছু টোকেন জব্দ করা হয়। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি দেখে নারীরা টাকাসহ দ্রুত জসীমের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। ডিবি পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বাড়িতে প্রবেশ করা হয়। এদিকে এরই মধ্যে এই বাড়িটি ঘিরে শুরু হয় উত্তেজনা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়িতে প্রবেশের পরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ, তার ভাই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শালসহ অনেকেই। তারা বাড়িটির সামনের রাস্তায় অবস্থান করে স্লোগান দিয়ে বসে পড়েন। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল। টানা দুই ঘণ্টা পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাস্থলে যাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, ভোটারদের নগদ টাকা প্রদানে টোকেন পেয়ে কহিনুর আকতার নামের এক সমর্থককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে একই অপরাধ না করার শর্তে প্রার্থীর মুচলেকা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ সরকারদলীয় প্রার্থীর সাজানো ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে তার প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবি জানান তিনি।