সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন

৩০ মে, ২০২৩ | ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) বাস্তবায়নে সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরএডিপি বাস্তবায়নে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। কিন্তু জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন শতভাগ অগ্রগতি অর্জন করতে হলে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে মাত্র দুই মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা ব্যয় করে দেখাতে হবে, যা একপ্রকার অসম্ভব। বরং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখাতে গিয়ে অর্থ অপচয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিবছর আমরা একই চিত্র দেখছি; কিন্তু এর কোনো সমাধান দেখছি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শেষ সময়ে প্রচুর বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়। অর্থাৎ কাজটা আগে হয় আর বিল দেওয়া হয় পরে। সেটা হলে হয়তো অপচয় হতো না। কিন্তু ওয়াসা, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সিটি করপোরেশনগুলো প্রতিবারই যেভাবে শেষ সময়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে দেয়, তাতে কাজের চেয়ে বরাদ্দ হওয়া টাকা যাতে ফেরত না যায়, সেটিই হয়ে থাকে মুখ্য বিষয়। কারণ, একবার টাকা ফেরত গেলে পরের বছর বরাদ্দ পেতে সমস্যা হবে বিধায় কোনোরকমে কাজ শুরু করে বিলটা উঠিয়ে নেওয়াই থাকে উদ্দেশ্য। সোমবার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আরএডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশ, গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর তীব্র ডলার সংকটে সরকার যে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি মেনে চলেছে, এজন্যই এমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে। কিন্তু আইএমইডির বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোনো অর্থবছরেই এডিপি বাস্তবায়নের লক্ষ্য পূরণ হয় না। দেখা যায়, মূল এডিপিতে যা বরাদ্দ ধরা হয়, অর্থবছরের মাঝপথে এসে তা কাটছাঁট করে কমিয়ে সংশোধিত এডিপি তৈরি করা হয়। আবার অর্থবছর শেষে সেটিরও কাঙ্ক্ষিত বাস্তবায়নের দেখা মেলে না। তাই সময়মেতা অর্থ ছাড়সহ নির্দিষ্ট সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অপচয় রোধের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।