জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

৩০ মে, ২০২৩ | ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্রিটেনের সহযোগিতা চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (ন্যাপ) মোতাবেক ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন। তাই আমরা যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। সোমবার (২৯ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ টিমের টিম লিডার এলেক্স হারভেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মোট বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের ০.৪৮ শতাংশের কম নির্গমণ করলেও বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন, মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম এবং লস এন্ড ড্যামেজ এর জন্য তহবিল ব্যবস্থার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। সদ্যপ্রণীত মুজিব ক্লাইমেট প্রসপ্যারিটি প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিশ্বে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বেইজড এডাপটেশনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।