ভাতার টাকা ব্যয় করবেন আওয়ামী লীগের খালেক

২৮ মে, ২০২৩ | ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন চার প্রার্থী। ১২ জুন এ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু। আর মেয়র পদের পারিতোষক ও ভাতার টাকা দিয়ে নির্বাচন করবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। অন্যদিকে শ্বশুরালয়ের সহযোগিতায় নির্বাচন করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আ. আউয়াল। নিজের আয় ও ভাই-বোনের সহযোগিতায় নির্বাচন করবেন জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন। নির্বাচনি ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণীতে প্রার্থীরা এসব তথ্য দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মধু মেয়র পদের নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় করবেন ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা চার প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তার অর্থের উৎস নিজ ব্যবসা। তিনি আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কোনো ঋণ বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান নিচ্ছেন না। সম্ভাব্য ব্যয়ের খাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ৩০ হাজার পোস্টারে ৯০ হাজার টাকা, পাঁচটি নির্বাচনি ক্যাম্প/অফিস স্থাপন ও কর্মীদের খরচ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্রার্থীর কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে খরচ ১৫ হাজার টাকা, প্রার্থীর যাতায়াত খরচে ৬০ হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠক/সভায় ৭০ হাজার টাকা, লিফলেট খরচ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা, হ্যান্ডবিল খরচ এক লাখ ১৫ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্যানারে ৭৯ হাজার ৭৫০ টাকা, পথসভা খরচে এক লাখ টাকা, মাইকিং খরচ এক লাখ ৯৭ হাজার ৫৫০ টাকা, অফিস আপ্যায়ন খরচ ৩০ হাজার টাকা, কর্মী বাবদ খরচ পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা, টেলিভিশন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বাবদ ৫০ হাজার টাকা, পুলিং এজেন্ট বাবদ দুই লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা খরচ করবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় করবেন মেয়র পদে থাকা অবস্থায় পাওয়া পারিতোষক ও ভাতার আয়ের উৎস থেকে। তার নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ২০ লাখ টাকা টাকা। তিনিও কোনো ঋণ বা অনুদান নিচ্ছেন না। নির্বাচনের জন্য তিনি এক লাখ পোস্টারের জন্য ব্যয় করবেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, পাঁচটি থানার নির্বাচনি ক্যাম্পের জন্য এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা, প্রার্থীর কেন্দ্রীয় ক্যাম্পের জন্য এক লাখ ২৪ হাজার টাকা, প্রার্থীর যাতায়াত ব্যয় ৮৫ হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠকের জন্য ৩৭ হাজার টাকা, লিফলেট বাবদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, হ্যান্ডবিলে এক লাখ টাকা, ব্যানারের জন্য ৬৯ হাজার ৭৫০ টাকা, ডিজিটাল ব্যানারে ৫২ হাজার ৭০০ টাকা, পথসভায় ৬২ হাজার টাকা, মাইকিংয়ে এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ টাকা, ৩১টি পোট্রেটে খরচ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা, নির্বাচনি প্রতীক খরচ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা, অফিস আপ্যায়ন খরচ ১৯ হাজার ২০০ টাকা, কর্মী বাবদ খরচ দুই লাখ ৯৭ হাজার ৬০০, মিডিয়ায় প্রচারের জন্য ১০ হাজার টাকা, বিবিধ খাতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করবেন। ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. আ. আউয়ালের নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ছয় লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা তার শিক্ষকতা ও ব্যবসা থেকে, এক লাখ টাকা শ্বশুর আ. ওহাব এবং এক লাখ টাকা শ্যালক আবু উবায়দার কাছ থেকে ঋণ, এক লাখ ২০ হাজার টাকা দুই ভাইয়ের কাছ থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত দান, এক লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মীয় ব্যতীত দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ধার, ৭০ হাজার টাকা আত্মীয় ব্যতীত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর শাখা থেকে স্বেচ্ছায় দান ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে নির্বাচন করবেন। জাকের পার্টির প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেনের নির্বাচনি ব্যয় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রার্থীর নিজ ব্যবসা থেকে ৬৫ হাজার টাকা, ভাই ফারুক হোসেনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ও বোন মরিয়ামের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, আত্মীয় ছাড়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ টাকা, জাকের পার্টির খুলনা মহানগর সদস্যদের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, নির্বাচন কমিশনে যে ব্যয় উল্লেখ করা হয়েছে সেটা সম্ভাব্য ব্যয়। নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশনকে ব্যয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।