ভারতের কর্ণাটক বিধানসভায় প্রথম মুসলিম স্পিকার

২৮ মে, ২০২৩ | ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

জনতার ভোটে পাল্টে গেল ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সার্বিক চিত্র। গত বছর হিজাব নিয়ে এই রাজ্যের ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন তীব্র উত্তেজনার মধ্যে তখনকার বিজেপি সরকার রাজ্যে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করে। এবং এরপর থেকে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয় বিজেপি সরকার। পরবর্তিতে ভোটে সব উলটপালট হয়েছে যায়। জনতার রায়ে বিজেপি হেরে যায়, কংগ্রেস জয়লাভ করে। এদিকে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন ইউ টি কাদের। কংগ্রেসপন্থি এই বিধায়ক রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মুসলিম বিধায়ক বিধানসভার স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। শুক্রবার (২৬ মে) কংগ্রেসপন্থী এই বিধায়ক রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপি এবং জনতা দল (সেক্যুলার) স্পিকার নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দাঁড় করায়নি। এ কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ইউ টি কাদের স্পিকার পদে নির্বাচিত হন। তবে এখনই স্পিকারের পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তিনি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কর্ণাটক বিধানসভার বিদায়ী স্পিকার আর ভি দেশপাণ্ডে তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই এ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করবেন কাদের। এদিকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সিদ্দারমাইয়াহ নতুন স্পিকার ইউ টি কাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক শুভেচ্ছা বার্তায় নতুন স্পিকারকে সংসদীয় আইন ও নিয়ম-কানুনের প্রতি একনিষ্ঠ থাকা ও বিধানসভার সদস্যদের অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর মনোভাব প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কর্ণাটকের উদুপি জেলায় হিজাব পরে যাওয়ার কারণে কয়েকজন মুসলিম শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় এবং তার জেরে সেই রাজ্যে শুরু হয় হিজাব আন্দোলন। পরে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের রাজনৈতিক সহনশীলতাকে বড় একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল এই আন্দোলন। ওই সময় রাজ্য বিধানসভায় আসীন ছিল বিজেপি। গত ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন হয়। ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করা হয় ১৩ মে। ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, রাজ্য বিধানসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৬টিতেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস।