২৫-৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট!

২৬ মে, ২০২৩ | ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল একটি চক্র। তারা কয়েকটি ধাপে মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রির কাজটি করে আসছিল। এ চক্রের একজন সদস্য স্পটে থাকে। সে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে। অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে। এরপর মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সঙ্গে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে চোরাই মোটরসাইকেলটি কয়েকটি হাতবদল হয়। এভাবে হবিগঞ্জের লাখাই রোডের ‘বন্ধু মটরস গ্যারেজ’ পর্যন্ত পৌঁছায়। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি পরিবর্তন, চ্যাসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পাঞ্চ করে আবার বিক্রি করে দেয়। এ চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার নাম জাকারিয়া হোসেন হৃদয়। বুধবার হবিগঞ্জের লোকরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি গুলশান বিভাগ। এ সময় ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ টি করে মোটরসাইকেল চুরি করে। এরপর সেগুলো বিক্রি করে দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে চক্রটি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তখন চক্রটির বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, গত ১০ মে কুড়িল এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ মে মালিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত করে ডিবি গুলশান বিভাগ। তারা তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায়। সেই সূত্র ধরে বুধবার হবিগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, অনেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চুরির মামলা নিতে চান না। তারা মনে করেন, চুরির মামলা নিলে খুঁজতে হবে, কষ্ট করতে হবে। এ কারণে অনেকে মামলা নিতে চান না। তবে আবার অনেকে (ওসি) কষ্টও করছেন। আবার মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেক ভুক্তভোগী মামলার পরিবর্তে জিডি করেন। আমি বলব, মোটরসাইকেল চুরি হলে জিডি না করে মামলা করতে। থানায় মামলা নিতে না চাইলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। ডিবি এ বছরেই একশর বেশি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুল বা মার্কেটে গেলে যেখানে-সেখানে না রেখে নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করা, আর চুরি হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় মামলা করার অনুরোধ করেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।