নারীর সঙ্গে প্রতারণা ও ইতিহাস বিকৃতির গুরুতর অভিযোগ: জবাব না দিয়ে ‘ধর্মীয় ও ভারত বিরোধী’ সেন্টিমেন্ট ব্যবহারের চেষ্টা ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের!

৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্যারিস্টার এসএসএম শাহরিয়ার কবির। তার বিরুদ্ধে লন্ডনে পড়াশোনার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ, বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মতো গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের দালিলিক জবাব না দিয়ে তিনি উল্টো ধর্মীয় আবেগ এবং ভারত-বিরোধী ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ এবং ‘গণশত্রু’ নামের একাধিক জনপ্রিয় পেইজ থেকে সম্প্রতি ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম গুরুতর অভিযোগটি হলো—লন্ডনে পড়তে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় তিনি এক ধনাঢ্য ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে স্কলারশিপ বা আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তিনি আর সেই মেয়েকে বিয়ে করেননি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের পক্ষাবলম্বন করার মতো স্পর্শকাতর অভিযোগও আনা হয়েছে। এতসব গুরুতর ব্যক্তিগত স্খলন ও প্রতারণার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের কাছ থেকে স্বচ্ছ ব্যাখ্যার প্রত্যাশা ছিল নেটিজেনদের। কিন্তু তিনি মূল ঘটনার (বিয়ের নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ) কোনো সদুত্তর না দিয়েই বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজের ভেরিফাইড পেইজ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, তাকে নিয়ে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা’ অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। তবে কেন বা কোন যুক্তিতে এগুলো মিথ্যা, তার কোনো প্রমাণ তিনি দেননি। উল্টো নিজের ব্যক্তিগত অপকর্ম ঢাকতে তিনি ‘ইসলাম’ ও ‘আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী অবস্থান’–এর দোহাই দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতারণার অভিযোগ উঠলে সেটির জবাব তথ্যের মাধ্যমেই দেওয়া উচিত। কিন্তু ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির কৌশলে নিজেকে ‘ভিক্টিম’ সাজিয়ে এবং ‘আল্লাহর পথে কোরবানি’ বা ‘প্রাণনাশের হুমকি’র মতো আবেগঘন শব্দ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। সমালোচকরা বলছেন, ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারি এবং নারীদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টিকে আড়াল করতেই তিনি এখন ‘ভারত বিরোধিতা’ এবং ‘ইসলামের’ নাম ব্যবহার করছেন, যা অত্যন্ত সুবিধাবাদী রাজনীতির পরিচায়ক। প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে এখন ‘শহীদি তামান্না’র বুলি আওড়ানোকে নেটিজেনরা তার ‘চরম ভণ্ডামি’ হিসেবেই দেখছেন।