শাপলা চত্বরে রাতে কোনো ‘গণহত্যা’ হয়নি: বিবিসি বাংলার সাবেক প্রধান সাবির মোস্তফা

৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক ও বিভিন্ন মহলের ‘গণহত্যা’র দাবি প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিবিসি বাংলার সাবেক প্রধান সাবির মোস্তফা। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, সেদিন রাতে শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় কোনো গণহত্যার ঘটনা ঘটেনি। বিবিসি বাংলার সাংবাদিকরা সরেজমিনে উপস্থিত থেকে যে চিত্র দেখেছেন, ঠিক সেটাই তারা প্রচার করেছেন। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবির মোস্তফা জানান, ওই রাতে শাপলা চত্বরে বিবিসির সংবাদদাতা কাদির কল্লোল রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন থেকে সাবির মোস্তফা নিজে সার্বক্ষণিক তার সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। গুজব বনাম বাস্তবতা সাবির মোস্তফা বলেন, “সেই রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষ করে টুইটারে প্রচার করা হচ্ছিল যে ১০০ থেকে ৫০০ লোক মারা গেছে, লাশ গুম করা হচ্ছে এবং রাস্তা ধুয়ে ফেলা হচ্ছে। আমি বারবার আমাদের রিপোর্টারকে জিজ্ঞেস করছিলাম তিনি এমন কিছু দেখছেন কি না। কাদির কল্লোল জানিয়েছিলেন, সেখানে কোনো ‘লাইভ ফায়ারিং’ হয়নি এবং কাউকে মারা যেতে তিনি দেখেননি। এমনকি দেয়ালে গুলির চিহ্ন বা রাস্তায় রক্তের দাগও ছিল না।” মানবাধিকার সংস্থার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অধিকার-এর মতো সংস্থাগুলো যথাক্রমে ৫৮ ও ৬১ জন নিহতের তালিকা দিলেও, ঠিক শাপলা চত্বরে রাতের অভিযানে কতজন মারা গেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তারা একটি নামও দিতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন সাবির মোস্তফা। মৃত্যু কোথায় হয়েছিল? বিবিসি বাংলার সাবেক এই প্রধান জানান, ৫ ও ৬ মে ঢাকা, হাটহাজারী, বরগুনা এবং নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হন। বিবিসি সেই সময় প্রায় ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে প্রচার করেছিল। তবে যেই ‘শাপলা চত্বর গণহত্যা’র কথা বলা হয়, মূল অভিযানের সময় শাপলা চত্বরের ভেতরে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। বিবিসির অবস্থান শাপলা চত্বরের সংবাদ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবির মোস্তফা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “কে কী বলল তাতে আমি পরোয়া করি না (I don't care)। কারণ আমরা জানি সেদিন শাপলা চত্বরে আসলে কী হয়েছিল। আমাদের রিপোর্টাররা সরেজমিনে যা দেখেছেন এবং আমরা যা যাচাই করতে পেরেছি, কেবল সেই সংবাদই আমরা সততার সাথে পরিবেশন করেছি।”