৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি ভারতের, স্মরণে ও কৃতজ্ঞতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি

৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১০:৪২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভারত। এতে ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিবৃতিতে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনা ছিল ঐতিহাসিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংকটময় সময়ে ভারতের এই সাহসী ও মানবিক অবস্থান স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতির সীমাহীন আত্মত্যাগ ও অকুতোভয় লড়াইয়ের পক্ষে। একইসাথে এটি আমাদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সমর্থনের দ্বার উন্মোচন করেছিল। বিবৃতিতে তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সংগঠিত নৃশংসতম গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট সহ মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং কোটি মানুষের শরণার্থী হয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে ভারতের সেই স্বীকৃতি ছিল নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক মহৎ উদাহরণ। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সশস্ত্র বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ যে আত্মত্যাগ ও সহমর্মিতা দেখিয়েছিল, বাঙালি জাতি তা চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে সঙ্গে স্মরণ করবে। ঐতিহাসিকভাবে ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত প্রকৃত বন্ধু। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ক্রমাগত উন্নতির দিকে এগিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—পারস্পরিক সম্মান, সমতা, আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে, যা আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে দেশ ও জনগণের স্বার্থ সবকিছুর উর্ধ্বে। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে কারও আধিপত্যবাদ বরদাস্ত করব না। বাংলাদেশের মাটিতে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় ভারত বিরোধিতা পরাজিত পাকিস্তানি মদদপুষ্টতার পরিচায়ক। পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিপুষ্ট হয়ে ভারতের মতো বৃহৎ প্রতিবেশী ও ঐতিহাসিকভাবে পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা বাংলাদেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। প্রায়োগিকভাবে সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং সাম্যের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিকে সামনে রেখে আমাদেরকে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে হবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। প্রেস বিজ্ঞপ্তি তারিখ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫