বিএনপি সন্ত্রাসীর হাজার কোটির চাঁদা ও দখল মিশন
আগামী নির্বাচনের আগে এক হাজার কোটি টাকার চাঁদা মিশনে নেমেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের বিএনপির নেতা, স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী এমদাদ। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর খাতায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসাবে তালিকাভুক্ত এমদাদ দলের নাম ভাঙিয়ে ২০২৪ সাল ৫ আগষ্ট থেকে জমি দখল ও চাঁদাবাজির নজিরবিহীন রেকর্ড গড়েছে। তাকে বেশ কয়েকবার আটক করা হলেও চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ হয়নি। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ও দলের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর কাছে অভিযোগ গেলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন না। অন্যদিকে, এমদাদ চাঁদাবাজি ও দখলবাজির সময় প্রচার করে—ভোটের সময় দলীয় ফান্ডের জন্য টাকা প্রয়োজন, তাই দলের নির্দেশে সব করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পমালিকরা এমদাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে র্যাব ও পুলিশে কয়েক শত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তারা জানান, এমদাদের অত্যাচারে অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে দিয়েছেন; কেউ ছেড়েছেন বাড়িঘর। চাঁদা দিতে না পারলে এমদাদ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নিচ্ছে। এমদাদকে কেউ কিছু না বলার কারণ—চাঁদার ভাগ নাকি অনেকেই পাচ্ছেন।” এদিকে পুলিশ জানায়, গত ৬ অক্টোবর ২০২৫ মধ্যরাতে গাজীপুর সদরের শ্রীপুর এলাকায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্রসহ ৭ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হত্যা, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এমদাদুল হক এবং শওকত মীর উল্লেখযোগ্য। অভিযানে ৭.৬৫ মিমি ক্যালিবারের ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি ওয়াকিটকি সেট, ২টি স্টান গান, ১টি নেইল গান, ২টি লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, গাজীপুরের শ্রীপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সুমন মিয়াকে (৩২) ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে—ছিনিয়ে নেওয়া আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার নেতৃত্ব দেন এমদাদুল হক। জামিনে ছাড়া পেয়ে সে এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধা দিচ্ছে বিএনপির একটি অংশ।
