নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা

৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় প্রাণতোষ সরকার (৪২) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ির দিঘলিয়াকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। প্রাণতোষ সরকার উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের সাধন সরকারের ছেলে। বাঁশগাড়ি বাজারে তাঁর স্বর্ণালংকারের দোকান রয়েছে। নিহতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার রাতে প্রাণতোষকে বাড়ি থেকে দুই লোক ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা দিঘলিয়াকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাণতোষকে নিয়ে গুলি করে। প্রাণতোষ লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক প্রাণতোষকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ভাবি হেনা রানী সরকার বলেন, আমাদের কোনো শত্রু নেই। যারা আমার দেবরকে ডেকে নিয়ে গেছে, তাদেরও চিনি না। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। রায়পুরা থানার ওসি (তদন্ত) প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদার জন্য ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদ্ধারে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার তিরমহুনি নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মাহমুদ সৈকত (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সৈকত গাইবান্ধা পৌর শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত আলী আহমেদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী লিয়ন, মজিবর, পলাশ, জনিসহ কয়েকজনের সঙ্গে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল সৈকতের। সেটি মীমাংসার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে সৈকতকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় মজিবর। তারা সৈকতকে তিরমহুনি নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) সুমঙ্গল জানান, নিহতের শরীরে ছুরির একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাবিবা আক্তার (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মেয়েটির পরিবার বলছে, ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হাবিবাকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সংকরাদহ গ্রামে মরদেহটি পাওয়া যায়। হাবিবা হরিণবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে বোনদের সঙ্গে বসে পড়ছিল হাবিবা। এ সময় কে বা কারা তাকে ঘরের বাইরে ডেকে নেয়। এর পর আর হাবিবা ফেরেনি। রাতেই তার খোঁজে এলাকায় মাইকিং করে পরিবার। ভোরে ঘর থেকে অল্প দূরে এক পরিত্যক্ত টিনের ঘরে হাবিবার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে লাশ উদ্ধারের সময় শিশুটির গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল।