রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: ব্যয় বাড়লো ২৬ হাজার কোটি, সময়সীমা ৩ বছর পিছিয়ে, বর্তমান সরকারের দুর্বলতা উন্মোচিত
৩ ডিসেম্বর ২০২৫ – দেশের প্রথম ও বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯,৭৪১ কোটি টাকা, যা ২০১৬ সালের প্রাথমিক বাজেট ১ লাখ ১৩,০৯২ কোটি টাকার তুলনায় ২৬,১৮১ কোটি টাকা বেশি। প্রকল্পের সমাপ্তির সময়সীমাও দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। পূর্বে এটি ডিসেম্বর ২০২৫-এ শেষ হওয়ার কথা ছিল, এখন তা জুন ২০২৮ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিগত সরকারের শক্তি খাতে সফলতা পূর্ববর্তী সরকার ২০০৯-২০১৪ সালের মধ্যে দেশের শক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। ১• বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি: বিভিন্ন থার্মাল পাওয়ার স্টেশন নির্মাণ ও সংস্কার। ২• বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণ: গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। ৩• স্মার্ট বিনিয়োগ: শক্তি উৎপাদনে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ ও প্রযুক্তি স্থানান্তর। বিশ্লেষকরা মনে করেন, পূর্ববর্তী সরকারের এই উদ্যোগগুলো দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও ঘাটতি তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড সমালোচনার মুখে। ১• অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ঘাটতি: ডলারের অস্থিরতা এবং আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির মূল্যবৃদ্ধির যথাযথ পূর্বাভাস নেই। ২• প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা: নির্মাণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বিলম্ব। ৩• পরিকল্পনা ও স্বচ্ছতার অভাব: সময়সীমা ও বাজেট বৃদ্ধির যথাযথ ব্যাখ্যা জনগণ ও সংসদকে দেওয়া হয়নি। ৪• জনসমর্থন হ্রাস: প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি ও সময়সীমা দীর্ঘায়নের ফলে সরকারের প্রতি আস্থা কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ও বাজেট ব্যবস্থাপনা দুর্বলতার কারণে রূপপুর প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব সীমিত হয়েছে।” প্রকল্পের গুরুত্ব ও প্রভাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের শক্তি নিরাপত্তা এবং পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পিত উৎপাদন ক্ষমতা: ২,৪০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ: শিল্প ও আবাসিক খাতে সহায়ক। পরিবেশ বান্ধব: কম কার্বন নিঃসরণ। তবে ব্যয় বৃদ্ধি ও সময়সীমা দীর্ঘায়ন দেশের বাজেট এবং অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞ ও সমালোচনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রূপপুর প্রকল্পের বিলম্ব ও অতিরিক্ত ব্যয় বর্তমান সরকারের কার্যকারিতা ও পরিকল্পনার দুর্বলতার পরিচায়ক। পূর্ববর্তী সরকার যেখানে স্থিতিশীল পদক্ষেপ নিয়েছিল, বর্তমান সরকার সেখানে ব্যর্থ হয়েছে।” সরকারি পক্ষ জানিয়েছে, *“রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের দীর্ঘমেয়াদী শক্তি নিরাপত্ত
