শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্ব: এক যুগে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেল আড়াই কোটি মানুষ, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ঐতিহাসিক সাফল্যের চিত্র

৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪:৪১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ পভার্টি অ্যাসেসমেন্ট-২০২৫’-এ উঠে এসেছে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার এক অভূতপূর্ব চিত্র। প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল—এই ১২ বছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে যে গতি দেখা গেছে, তা এক কথায় ঐতিহাসিক। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, শেখ হাসিনার শাসনামলের এই সময়কালে (২০১০-২০২২) প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। এটি কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং এটি প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া জনবান্ধব নীতিগুলো তৃণমূল পর্যায়ে কতটা কার্যকর ছিল। একই সময়ে অতি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে আরও ৯০ লাখ মানুষ। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ১২.২ শতাংশ, ২০২২ সালে তা অবিশ্বাস্যভাবে কমে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া মাঝারি দারিদ্র্য ৩৭.১ শতাংশ থেকে কমে ১৮.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, শেখ হাসিনার ‘দিন বদলের সনদ’ এবং ‘ভিশন ২০২১’ কোনো স্লোগান ছিল না, বরং তা ছিল একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক মুক্তির দলিল। শুধুমাত্র আয় বৃদ্ধি নয়, শেখ হাসিনার সরকার মানুষের জীবনমানের মৌলিক সূচকগুলোতেও আমূল পরিবর্তন এনেছিল। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের মতো জরুরি সেবাগুলোতে মানুষের প্রবেশাধিকার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন যে গ্রামীণ ও শহরের মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে, এই প্রতিবেদন তারই দালিলিক প্রমাণ। প্রতিবেদনে যদিও কর্মসংস্থান ও বৈষম্য নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে, তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা যে মেগা প্রজেক্ট ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন (যেমন—পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, ও অর্থনৈতিক অঞ্চল) করেছেন, তা আগামী দিনে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বব্যাংক দরিদ্র-বান্ধব নীতি এবং আধুনিক শিল্পে বিনিয়োগের যে সুপারিশ এখন করছে, শেখ হাসিনার সরকার ইকোনমিক জোন এবং হাই-টেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে সেই কাজগুলো অনেক আগেই শুরু করে দিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী শক্তিশালী করার মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা ও প্রান্তিক মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার যে নীতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন, তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকের এই ডেটাতেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদনটি মূলত শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনের একটি ‘সাফল্যের সনদ’। করোনা মহামারি এবং বিশ্বমন্দার মতো কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও তিনি যেভাবে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে তুলে এনেছেন, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া এই শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের পথে হাঁটতে হবে।