‘ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার পাপে তারেক রহমান আমৃত্যু অনিরাপদ, এসএসএফ তাকে জনবিচ্ছিন্ন করবে’: সাংবাদিক ফজলুল বারী

২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সম্প্রতি এসএসএফ (SSF) সুবিধা এবং ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফজলুল বারী। তিনি মন্তব্য করেছেন, বঙ্গবন্ধু ভবন ভাঙার ঘটনার মধ্য দিয়ে তারেক রহমান নিজের জন্য চরম নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছেন এবং এসএসএফের নিরাপত্তা বলয় তাকে মূলত জনবিচ্ছিন্ন করে রাখবে। এক লেখায় ফজলুল বারী উল্লেখ করেন, তারেক রহমানের সর্বশেষ নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের ঐতিহাসিক ভবনটি ভাঙার মধ্য দিয়ে। তার মতে, বঙ্গবন্ধু সমর্থকরা বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। ফলে এই ঘটনার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সামনে তিনি আমৃত্যু আর কখনোই নিরাপদ বোধ করতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার এসএসএফ নিরাপত্তা পুনর্বহাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "খালেদা জিয়ার এখন আর এসএসএফ নিরাপত্তার দরকার নেই। তার ছেলে একুশ আগস্টের অভিযুক্ত তারেককে নিরাপত্তা দিতেই মূলত এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।" তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার যে 'পাপ', তা এই নিরাপত্তা দিয়ে কখনোই ঢাকা যাবে না বা তাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারবে না। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে তারেক রহমানের অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফজলুল বারী লিখেন, "এসএসএফ যাদের নিরাপত্তায় তারেক থাকবেন, এরাই একসময় তাকে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে মেরুদন্ড ভেঙ্গেছে। এদের কাছেই রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। এরাই তার মাকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উৎখাত করেছে।" সাংবাদিক বারীর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার নাম করে মূলত তারেক রহমানকে জনবিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে। এছাড়া দলের অভ্যন্তরে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে তারেক রহমানের অনেক ধনী শত্রু তৈরি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পরিশেষে তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আইনি জটিলতার কথাও তুলে ধরেন ফজলুল বারী। তিনি বলেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগের দালিলিক প্রমাণপত্র না দেখানো পর্যন্ত তারেক রহমান বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সব মিলিয়ে বাকি জীবন তাকে নানান কারণে কড়া নিরাপত্তা ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যেই কাটাতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই সাংবাদিক।