পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের ভিত্তিহীন কল্পকাহিনীর মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত হয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

১ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৮:২৬ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের ভিত্তিহীন কল্পকাহিনীর মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত হয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং পরিকল্পিতভাবে খুবই আবেগঘন ও হৃদয়বিদারক পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ধরন দেখলেই বোঝা যায় এটা অবৈধ দখলদার সরকারের প্রসক্রাইবড এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত পাগলের প্রলাপ। এখানে দলগতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়েছে। অথচ তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি বা পারবেও না যে এই ঘটনার আগে-পরে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বরং বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারকে বিপদে ফেলার নীলনকশা ছিল এবং সম্পূর্ণ আওয়ামী বিরোধী সেন্টিমেন্ট থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দানকারী বিডিআর ডিএডিরা বিএনপি-জামাত শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে অনেকে আবার জঙ্গিবাদ নির্মূলে এবং ২০০৮ সালের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন প্রশ্ন হলো, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের প্রায় ৫০দিনের মাথায় এ ধরনের ঘটনায় কাদের লাভ? আজ তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের সংবাদ সম্মেলন দেখলেই বিবেচনা বোধসম্পন্ন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবে যে তাদের প্রতিবেদন মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য পূর্বপরিকল্পিত। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধানকে বারবার পাশ থেকে গাইড করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি চেয়ার থেকে উঠে এসেও প্রেস্ক্রাইব করা হচ্ছে। এর দ্বারা বোঝাই যায় যে, এই কমিশন উপাত্ত সংগ্রহ ও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ না করেই পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কল্পকাহিনী সাজিয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ড যদি আওয়ামী লীগ ঘটাত তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আওয়ামী লীগ করত না। জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জন আসামীর বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং পর্যন্ত ২৯৩ জন শাস্তিপ্রাপ্ত ও দণ্ডিত আসামীকে মুক্তি দিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিচার করেছেন, অপরদিকে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ দখলদার ইউনূস গং শাস্তি বাতিল করে মুক্তি দিয়েছে। এটাকে বলা যায় অলিখিত ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি। যারা এই ধরনের মর্মস্পর্শী ও হৃদয় বিদারক হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদের মুক্তি দিতে পারে তাদের দ্বারা যে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করাই সম্ভব। তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটার দুরভিসন্ধি সমগ্র জাতির সামনে স্পষ্ট। দেশের জনগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে এই ভুয়া ও বানোয়াট প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তাদের মত প্রকাশ করেছে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। এই অবৈধ দখলদাররা নিজের অবৈধ ক্ষমতার ন্যায্যতা পাওয়ার জন্য দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে দুর্বল করার যে পাঁয়তারা নিয়েছে সেটার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের এই অপতৎপরতার কারণে সমগ্র জাতি যে বিভেদ ও বিভ্রান্তির সংকটে পড়বে সেখান থেকে জাতিকে রক্ষা করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। দেশ ও দেশের জনগণের প্রয়োজনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই চ্যালেঞ্জে আমাদের সফল হতে হবে, ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।