আগুনে সর্বস্বান্ত কড়াইল বস্তিবাসীর পাশে ‘বিপ্লবী’ ছাত্রনেতা রানা শিকদার: ধ্বংসস্তূপের মাঝে পৌঁছে দিলেন শীতবস্ত্র
এক রাতেই আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও শেষ সম্বলটুকু। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে যখন কড়াইল বস্তির মানুষ হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে, ঠিক তখনই তাদের পাশে উষ্ণতার পরশ নিয়ে দাঁড়ালেন বিপ্লবী ও সাহসী ছাত্রনেতা রানা শিকদার। সম্প্রতি রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারানো অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তিনি শীতবস্ত্র (কম্বল ও গরম কাপড়) বিতরণ করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের ধ্বংসলীলায় সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব মানুষগুলো শীতের প্রকোপে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের অনেকেরই গায়ে জড়ানোর মতো সামান্য গরম কাপড়টুকুও আগুনে পুড়ে গেছে। এমন মানবিক বিপর্যয়ের মুহূর্তে রানা শিকদার তার কর্মীদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া বস্তির অলিগলিতে গিয়ে ভুক্তভোগী নারী, পুরুষ ও শিশুদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। শীতবস্ত্র বিতরণের সময় রানা শিকদার আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, "আগুনে এদের স্বপ্ন পুড়ে গেছে, কিন্তু আমরা এদের মানবিকতা পুড়তে দিতে পারি না। এই শীতে খোলা আকাশের নিচে থাকা মানুষগুলোর কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। পোড়া ভিটায় দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব।" আগুনে ঘরবাড়ি ও শীতের কাপড় হারানো বস্তিবাসী হঠাৎ এই সহায়তা পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে রানা শিকদারের এই মানবিক উদ্যোগ শীতার্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মনে নতুন করে বাঁচার সাহস জুগিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, যেকোনো দুর্যোগে রানা শিকদার সাধারণ মানুষের ঢাল হয়ে দাঁড়ান। আগুনের পর এই তীব্র শীতে তার এই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এক বড় স্বস্তি বয়ে এনেছে।
