ইইউ নেতৃবৃন্দকে জরুরি চিঠি ড. হাছান মাহমুদের

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ইইউ নেতৃবৃন্দকে জরুরি চিঠি ড. হাছান মাহমুদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক বিচার ও বেআইনি মৃত্যুদণ্ডের রায়’ প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথাকথিত প্রহসনমূলক বিচার ও কথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট খাজা ক্যালাসের কাছে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। চিঠিতে ড. হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আইন বহির্ভূত এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী। তিনি বলেন, এই তথাকথিত বিচারের নামে একটি “প্রহসনমূলক বিচারিক নাটক” মঞ্চস্থ করা হয়েছে, যেখানে অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম অধিকার পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কথিত আইসিটি আদালতের রায় আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার সনদ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত ন্যায্য বিচার সংক্রান্ত মৌলিক মানদণ্ডের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ ধরনের রায় শুধু বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যই হুমকি নয়, বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকারের জন্যও ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করবে বলে তিনি সতর্ক করেন। চিঠিতে ড. হাছান মাহমুদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং অবিলম্বে এই অবৈধ বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে কার্যকর ও সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে। তিনি একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য, ১৩ নভেম্বরের আগেও ড. হাছান মাহমুদ একই বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ ইউরোপের একাধিক প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিতভাবে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। ঐসব চিঠিতেও তিনি এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের চিঠি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি আরও দৃশ্যমান করে তুলবে এবং বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা ও উদ্বেগ তৈরি করবে।