শেখ হাসিনার নৈতিক অবস্থানকে সম্মান: ‘আস্থাহীন’ ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না জেড আই খান পান্না

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ১০:২৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো আস্থা নেই—এই নৈতিক অবস্থানকে সম্মান জানিয়ে ওই আদালতে তাঁর পক্ষে আইনি লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি মনে করেন, মক্কেলের আস্থা নেই এমন কোনো আদালতে তাঁকে ডিফেন্ড করতে যাওয়া অনৈতিক। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় জেড আই খান পান্না শেখ হাসিনার আইনি লড়াই থেকে সরে আসার এই কারণ ব্যাখ্যা করেন এবং বর্তমান বিচারিক প্রক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। জেড আই খান পান্না বলেন, ‘‘আমি আইসিটিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ডিফেন্ড করার জন্য আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, মাননীয় শেখ হাসিনারও এই আদালতের প্রতি আস্থা নেই। যে আদালতের প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যার আস্থা নেই, সেই আদালতে তো আমি তাঁকে ডিফেন্ড করতে পারি না। এটা উচিত না এবং অনৈতিক।’’ শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘এই বিচারটি নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বহু আন্তর্জাতিক সংগঠন তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে। গত ১৬ বছর ধরে যারা আওয়ামী শাসনের বিরোধিতা করেছে, তারাও এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’’ ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘যেখানে জমির জন্য আবেদনই করা হয়নি, সেখানে তাঁদের কীভাবে সাজা দেওয়া হলো? এটা আমার বোধগম্য নয়।’’ তিনি জানান, দুদকের এই মামলায় তিনি আপিল করার চেষ্টা করবেন এবং অনুমতি না পেলেও এই অবিচারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের পাশে থাকবেন। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, ‘‘আদালতে যদি নির্বিঘ্নে ডিফেন্ড না করতে পারি, তবে সেখানে দাঁড়িয়ে লাভ নেই। আমি কোনো বিক্রয়যোগ্য পণ্য নই। যখন যেটা সঠিক মনে করেছি, সেটাই করেছি।’’ বক্তব্যের শেষে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে নিজের অবিচল অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘‘এ দেশ পাকিস্তানি, মৌলবাদী বা স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে যাবে না। লড়াই ছেড়ে যাব না।’’ তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।