আইএসআইয়ের ১.৬ কোটি টাকার ‘গোপন চালান’: জামায়াতের পুনরুত্থান ও ঢাকা-ইসলামাবাদ গোপন আঁতাতের অভিযোগ

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২:১৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (ISI) বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ‘অন্তর্বর্তী অর্থায়ন’ হিসেবে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা (১৬ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি) পাঠিয়েছে। এই ঘটনা ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে একটি গোপন চুক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্রমতে, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান তাদের প্রভাব বিস্তারে তৎপর হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে জামায়াতে ইসলামী নতুন করে সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চয় করছে। আর এই প্রক্রিয়ায় ইন্ধন যোগাতে পাকিস্তান সরাসরি অর্থায়ন করছে। ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার এই চালানকে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা করার ‘ফুয়েল’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা ও গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সাথে পাকিস্তানের এই দহরম-মহরম সম্পর্ক নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইএসআইয়ের সরাসরি অর্থায়ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। বিশ্লেষকদের মতে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত নেতাদের সংগঠনটিকে পুনর্বাসিত করার এই চেষ্টা দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। সমালোচকরা বলছেন, এই গোপন তৎপরতার মূল লক্ষ্য ঢাকাকে পাকিস্তানের একটি ‘কৌশলগত উপনিবেশে’ পরিণত করা। অন্তর্বর্তী সরকারের ছায়ায় জামায়াতের এই ঘুরে দাঁড়ানো এবং পাকিস্তানের সাথে গোপন আঁতাত—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতিতে এক অশুভ সংকেত দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, যেখানে একাত্তরের ক্ষত এখনো দগদগে, সেখানে পাকিস্তানের এই নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং জামায়াতের এই সন্দেহজনক অর্থায়ন সরকার কীভাবে দেখছে? দেশের নিরাপত্তা ও স্বকীয়তা রক্ষায় প্রশাসন কি কোনো পদক্ষেপ নেবে, নাকি এই আঁতাতের পথ আরও প্রশস্ত হবে—তা সময়ই বলে দেব।