শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি সোনা সাজানো নাটক, নেপথ্যে কড়াইল বস্তির আগুন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকা দুটি ব্যাংক লকার থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অগ্রণী ব্যাংকে থাকা ওই লকার দুটি খোলা হয়। সরকারিভাবে দাবি করা হচ্ছে, সেখান থেকে প্রায় ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গেছে। তবে ঘটনার আড়ালে ভিন্ন এক নাটকের ইঙ্গিত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। লকার দুটি দীর্ঘদিন ধরে জব্দ অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে তা খোলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রগুলোর দাবি, লকার খোলার পর সেখানে সরকারি দাবির মতো বিপুল সোনা পাওয়া যায়নি। বরং অধিকাংশ লকারই ছিল ফাঁকা, আর কিছু লকারে কেবল নথিপত্র ও কাগজ পাওয়া গেছে। তাহলে ৮৩২ ভরি সোনার এই হিসাব এলো কোথা থেকে? তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে কেন এই ‘লকার কাণ্ড’ সামনে আনা হলো—এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন একটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম গোপন রাখার শর্তে তিনি জানান, এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ভিন্ন। মূলত রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুনের ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি সরাতেই তড়িঘড়ি করে এই লকার নাটক সাজানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, কড়াইল বস্তির আগুন এবং সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হতে পারত, তা এড়াতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের প্রসঙ্গটি সামনে আনা হয়েছে। একে তিনি ‘মিডিয়া ডাইভারশন’ বা দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেন। জনমনে এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি ৮৩২ ভরি সোনা উদ্ধার হয়েছে, নাকি বস্তির আগুনের উত্তাপ নেভাতে সাজানো হয়েছে এই লকার রহস্য? বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
