চট্টগ্রামে সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচির বিরুদ্ধে স্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ
চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএনপি পন্থী হিসেবে পরিচিত জাহেদুল করিম কচির বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব চারিত্রিক স্খলন, শারীরিক নির্যাতন এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করার অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী ও বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা সুলতানা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে এসব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা সুলতানা তার দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের করুণ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, বিয়ের রাত থেকেই তিনি স্বামীর অবহেলা ও প্রতারণার শিকার। তিনি অভিযোগ করেন, "আমাকে বিয়ে করে আনলেও বাসর রাতে তিনি আমার কাছে আসেননি। সেই রাত তিনি কাটিয়েছেন তার এক বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে।" তিনি জানান, তার স্বামী বন্ধুদের নিয়ে নিয়মিত মদ্যপান ও অনৈতিক ফুর্তিতে মেতে থাকতেন। সাংবাদিক কচির বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগটি তার স্ত্রী এনেছেন তা হলো—নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য স্ত্রীকে অনৈতিক কাজে ব্যবহারের চেষ্টা। ফরিদা সুলতানা বলেন, "সে আমাকে তার ব্যক্তিগত স্বার্থে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতাদের শয্যাসঙ্গী হতে সে আমাকে চাপ দিত ও বাধ্য করার চেষ্টা করত।" তিনি নিজেকে বারবার নিজের সততা ও মেধা দিয়ে রক্ষা করেছেন বলে দাবি করেন। এছড়াও নিজের মেয়ের বয়সী নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগও আনেন ফরিদা সুলতানা। তিনি বলেন, "মদ্যপানের পাশাপাশি পেটের সন্তান সমতুল্য মেয়েদের নিয়ে সে সরাসরি বাসায় চলে আসত এবং নিজের ব্যক্তিগত রুমে দরজা বন্ধ করে ফুর্তি করত। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।" ফরিদা সুলতানা আরও অভিযোগ করেন, প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসত অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন। প্রতি রাতেই মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফিরে তাকে মারধর করা কচির নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল বলে জানান তিনি। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও স্বামীর এমন লম্পট আচরণের কারণে তার সোনালী যৌবন ও সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে বলে আক্ষেপ করেন এই নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
