রাজধানীর বসুন্ধরায় লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: হত্যার অভিযোগ
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ওই ফ্ল্যাটে আজ রাতে আল আমিনের মরদেহ জানালার গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠেছে, সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য লাশটি জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায়, আল আমিনের মরদেহটি জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলে থাকলেও তার হাঁটু এবং পা মেঝের সাথে লাগানো অবস্থায় (Kneeling position) ছিল। জানালার উচ্চতাও মেঝের খুব কাছাকাছি। সাধারণত আত্মহত্যার ক্ষেত্রে শরীর ঝুলে থাকার কথা থাকলেও, এক্ষেত্রে হাঁটু ভাজ করে মেঝের সাথে লেগে থাকায় মৃত্যুটি নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই ধারণা করছেন, তাকে হত্যার পর এই অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। লাকসাম ও কুমিল্লার ছাত্ররাজনীতিতে আল আমিন একটি পরিচিত নাম। তার এমন আকস্মিক ও রহস্যজনক মৃত্যুতে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজপথে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশি তদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
