বসুন্ধরায় লাকসাম ছাত্রলীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু: ‘আমার ভাইরে মাইরা লাইছে’—ভাইয়ের আহাজারি, পরিবারের দাবি হত্যা

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ৪:১৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা দাবি করেছেন, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, আল আমিনের মরদেহটি জানালার গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে মরদেহের অবস্থান নিয়ে তীব্র রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মরদেহটি ঝুলে থাকলেও তার হাঁটু এবং পা মেঝের সাথে ভাজ করা অবস্থায় (Kneeling position) লেগে ছিল। জানালার উচ্চতা মেঝের খুব কাছাকাছি হওয়ায় এবং শরীর পুরোপুরি ঝুলে না থাকায়, এটিকে সাধারণ আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার পর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরদেহ এভাবে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে, আল আমিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে নিহতের ভাইকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আহাজারি করতে দেখা যায়। তিনি বিলাপ করে বলছিলেন, "আমার ভাই মরে গেছে... আমার ভাইরে ফেইক, কি মিছা কথা কইতেছে! আমার ভাইরে... আমার ভাইরে মাইরা লাইছে।" ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে তিনি আরও বলেন, "সবার কাছে আল্লাহর তরফে মাফ চায়... আমার ভাইরে মাইরা লাইছে।" এ সময় পাশ থেকে স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। লাকসাম ও কুমিল্লার ছাত্ররাজনীতিতে পরিচিত মুখ আল আমিনের এমন আকস্মিক ও রহস্যজনক মৃত্যুতে দলীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পারিপার্শ্বিক তদন্ত শেষেই নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।