আবারও কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু: চিকিৎসার অভাবে ‘হত্যা’র অভিযোগ পরিবারের

২৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ৫:২৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

১,জামিন পাওয়ার পর জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার, এরপরই কারাগারে মৃত্যু। ২,হৃদরোগে আক্রান্ত নেতার উন্নত চিকিৎসায় পুলিশের বাধার অভিযোগ স্বজনদের। ৩, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে, জানালেন চিকিৎসক। ৪, নিহত তারিক রিফাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। গাইবান্ধা জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে তারিক রিফাত (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তারিক রিফাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিএসএসের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তারিক রিফাতের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বরং চিকিৎসার অভাবেই তাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। তারা জানান, তারিক রিফাতের হৃদ্‌যন্ত্রে রিং পরানো ছিল। গত ১৭ নভেম্বর আদালত থেকে জামিন পেলেও তাকে জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও পুলিশ তা গ্রাহ্য করেনি। চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে শনিবার বিকেলে তাকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানোর পর বিকেলে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের অসহযোগিতা ও সঠিক চিকিৎসার অভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শিশির ঘোষ জানান, কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অন্যদিকে, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে ফুলপুকুরিয়া এলাকায় হামলা, বিএনপি অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও জামায়াত নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তারিক রিফাতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। এর আগেও গত ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। দুটি মামলায় তিনি এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।