সংবাদ দেওয়ার কথা বলে ফাঁদ: সাংবাদিককে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় সুরভীর বিরুদ্ধে মামলা

২১ নভেম্বর, ২০২৫ | ৮:০৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার নাইমুর রহমান দুর্জয়কে অপহরণ, ২৪ ঘণ্টা আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন এবং ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পরিচিত নারী তাহরিমা জান্নাত সুরভীকে প্রধান আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় এই মামলাটি করা হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এই পুরো ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তাহরিমা জান্নাত সুরভী। তিনি অত্যন্ত কৌশলে সাংবাদিক দুর্জয়কে ফাঁদে ফেলেন। প্রতারণার জাল: সুরভী গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা তথ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুর্জয়কে দেখা করতে বলেন। অপহরণের ছক: তিনি বিমানবন্দর এলাকা থেকে দুর্জয়কে নিজের মোটরসাইকেলে তুলে গাজীপুরের দিকে নিয়ে যান। মূলত এটি ছিল তাকে অপহরণের উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তদের ডেরায় পৌঁছে দেওয়ার কৌশল। হামলা ও জিম্মি: সুরভী তাকে নিয়ে ভোগড়া বাইপাস হয়ে সফিপুরে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে। সেখান থেকেই দুর্জয়কে জিম্মি করা হয়। নির্যাতন ও চাঁদাবাজি: মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সুরভী ও তার সহযোগীরা দুর্জয়কে কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক রোডের একটি নির্জন বাসায় আটকে রাখে। সেখানে: ১. হাত-পা বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ২. সাংবাদিকের গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে জোর করে ইয়াবা বিক্রির মিথ্যা ভিডিও ধারণ করা হয়। ৩. নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান নিশ্চিত করেছেন যে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, "অভিযোগটি এখন এফআইআর (FIR) হিসেবে গণ্য হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।" টানা ২৪ ঘণ্টা মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আটকে রাখার পর বুধবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি গোপন রাখতে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তবে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এখন সুরভী ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হলো।