সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা বার্তা

২১ নভেম্বর, ২০২৫ | ৫:০১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস -২০২৫ উপলক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ দিনে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং সম্মোহনী নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতা অর্জন করে। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২১-এ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এ দিনে সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন। দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১-এ নভেম্বর সশস্ত্র বহিনী দিবস পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সে লক্ষে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর ট্রেনিং একাডেমি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী সম্পন্ন করে তুলতে 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' ঘোষণা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। সমগ্র জাতি আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটি অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক গণবিরোধী শক্তি জাতির কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে।দেশের মানুষের জীবনের ও জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই; মানুষ স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে নির্বিচারে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ নিত্যদিনের প্রতিচ্ছবি। এই অবৈধ দখলদার সরকার সমগ্র রাষ্ট্র যন্ত্রকে জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যবহার কিরছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি বিধানে,গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের শেষ আশ্রয়। যে বাহিনী জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা নিজেদের দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আশা করে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশপ্রেম, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি, দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।