‘সাজানো নির্বাচনের’ লক্ষ্যেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এখনই কার্যকর হচ্ছে না: জয়
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি এই রায়কে ‘প্রহসন’ এবং বর্তমান সরকারের ইচ্ছার ‘রাবার স্ট্যাম্প’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় অভিযোগ করেন, বর্তমান ‘অনির্বাচিত ও অসাংবিধানিক’ সরকার আগামী নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এখনই কার্যকর করছে না। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট আজ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছে, তবে আসন্ন নির্বাচন থেকে নয়, কেবল পরবর্তী নির্বাচন থেকে এটি কার্যকর হবে। আবারও, এটি একটি প্রহসনমূলক রায়, যা এই অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং অবৈধ সরকার যা চায়, তারই রাবার স্ট্যাম্প মাত্র।’’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘‘যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতেই হয়, তবে এই নির্বাচনসহ সব নির্বাচনের জন্য কেন নয়? বর্তমান সরকার কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয় এবং এই রায়ের শর্তাবলীও পূরণ করে না।’’ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গ সজীব ওয়াজেদ জয় অভিযোগ করেন যে, বর্তমান সরকার আসন্ন নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় না, যাতে তারা একটি ‘সাজানো নির্বাচন’ করতে পারে। তিনি দাবি করেন, ‘‘আওয়ামী লীগ এবং সমস্ত প্রগতিশীল দলকে নিষিদ্ধ করে এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে কারচুপি করা হবে।’’ হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে জয় বলেন, এই সরকার সরাসরি আওয়ামী লীগ কর্মীদের হত্যার আহ্বান জানিয়েছে এবং তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘বিনা বিচারে আমাদের হাজার হাজার নেতা এবং ১০০-এর বেশি সংসদ সদস্যকে দেড় বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’’ এছাড়া গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিরস্ত্র প্রতিবাদকারীদের মৃত্যু এবং পুলিশের বারবার ‘শুট অন সাইট’ বা দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কথাও তিনি তার স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন। স্ট্যাটাসের শেষে তিনি মন্তব্য করেন, বর্তমান সরকার তাদের সুবিধামতো নির্বাচন করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সরিয়ে রেখেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘যদি এসব কিছুই গ্রহণযোগ্য হয়, তবে আওয়ামী লীগ সরকার একেবারেই কোনো ভুল করেনি।’’ উল্লেখ্য, হ্যাশট্যাগ হিসেবে তিনি #Yunus, #Bangladesh এবং #democracy ব্যবহার করেছেন।
