মার্কিন সেনাদের স্থলাভিষিক্ত হতে কাতারে সেনা পাঠাতে চায় বাংলাদেশ, দোহায় পিএসও

১৯ নভেম্বর, ২০২৫ | ১০:১১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে মার্কিন সেনাদের সম্ভাব্য প্রত্যাহারের পর সেই শূন্যস্থান পূরণে প্রায় ১,০০০ বাংলাদেশি সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান দোহায় অবস্থান করছেন। গত দুই দিন ধরে তিনি কাতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও সেখানে অবস্থানরত মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন। নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্রমতে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান গত ১৬ নভেম্বর দোহায় পৌঁছান। তার এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সরকারকে এই বিষয়ে রাজি করানো এবং মার্কিন সেনাদের ছেড়ে যাওয়া স্থানে বাংলাদেশি সেনাদের গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করা। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এর আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সৌদি আরবে একটি সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। সেই সফরেও সৌদি আরবে অবস্থানরত ৭,০০০ মার্কিন সেনার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বাংলাদেশি সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল। পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার সেনা রয়েছে এবং কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশে তাদের স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। কাতারের আল উদিদ বিমান ঘাঁটিতেই প্রায় ৮,০০০ মার্কিন সেনা সদস্য অবস্থান করেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাঁটি থেকে প্রায় ৪০টি সামরিক বিমান সরিয়ে নিয়েছে, যা এই অঞ্চল থেকে তাদের সেনা উপস্থিতি কমানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৬,৩০০-এর বেশি শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন, যা বাংলাদেশকে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মর্যাদা দিয়েছে। এই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই বাংলাদেশ এখন কাতারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। যদি কাতার এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেয়, তবে এটি দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।