ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের হামলার পিছনে ছাত্রশিবির, ডিসি মাসুদের বক্তব্য ভাইরাল

১৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ১০:৪০ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের হামলায় ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলমের একটি ফোনালাপ ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি আরও তীব্র হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তাকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।” এই বক্তব্য প্রকাশের পর নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার সময় ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরের পর থেকে সেখানে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে এক্সকাভেটর নিয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা দ্রুত বুলডোজার থামিয়ে দেয় ও শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া হয়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিস্থিতি একাধিকবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ সমন্বিতভাবে অগ্রসর হচ্ছিল এবং তাদের আচরণ ছিল “প্রশিক্ষিত দলের” মতো। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এখানে ছাত্রশিবিরসহ চিহ্নিত একটি গোষ্ঠীর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব এবং পরে সেনা মোতায়েন করা হয়। ধানমন্ডি ৩২–ঘেঁষা সড়কগুলোতে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ঘটনার দিন ভাইরাল হওয়া ডিসি মাসুদের ফোনালাপ নতুন বিতর্ক তৈরি করে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—ঘটনার পেছনে কি শুধু উত্তেজিত কিছু ছাত্র ছিল, নাকি একটি সংগঠিত রাজনৈতিক ছাত্রগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে? সামাজিকমাধ্যমে বহু ব্যবহারকারী দাবি করছেন, বুলডোজার নিয়ে অগ্রসর হওয়ার ধরন এবং সংঘর্ষের সময়কার অবস্থান দেখে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। ইতিহাসবিদদের মতে, বঙ্গবন্ধুর বাড়িকে কেন্দ্র করে এমন হামলা শুধু তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক উত্তেজনার অংশ নয়, বরং এটি দেশের রাজনৈতিক স্মৃতি ও প্রতীকী স্থাপনার ওপর সরাসরি আঘাত। শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২–এ এমন আক্রমণের চেষ্টা দেশজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যারা পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুরে জড়িত, তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে। ভাইরাল ভিডিও নিয়ে এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।